সংক্ষিপ্ত
- কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যা নিয়ে উত্তাল আমেরিকা
- হিংসার আগুনে গত কয়েকদন ধরে জ্বলছে মার্কিন মুলুক
- বিক্ষোভ থামাতে সেনা নামানোর হুমকি প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পে
- সবাইকে চমকে দিয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে ট্রাম্পের মেয়ে
কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে আমেরিকা। সেই বিক্ষোভের আঁচ লেগেছে দেশের প্রেসিডেন্টের সরকারি বাসভবনে। এমনকি আন্দোলনকারীদের থেকে বাঁচতে হোয়াইট হাউসের বাঙ্কারেও ঘণ্টাখানেক আশ্রয় নিতে হয়েছিল পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের প্রেসিডেন্ট। বিক্ষোভ থামাতে ডোনাল্ড ট্রাম্প দেশে সেনাবাহিনী নামানোর হুমকিও দিয়েছেন। আর এই পরিস্থিতিতেই কিনা খোদ ট্রাম্প কন্যা পাশে দাঁড়ালেন আন্দোলনকারীদের।
আমেরিকায় পুলিশ হেফাজতে জর্জ ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদে সরব হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ছোট কন্যা টিফানি ট্রাম্প। ফ্লয়েড হত্যার প্রতিবাদ ও সামাজিক সাম্যের দাবিতে দেশজুড়ে চলা বিক্ষোভ-আন্দোলনকেও সমর্থন জানিয়েছেন তিনি। শুধু টিফানি নন, তাঁর মা তথা ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় স্ত্রী মার্লা ম্যাপলসও বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানাতে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের অ্যাকাউন্টে কালো স্ক্রিনের ছবি পোস্ট করেছেন।
গত ২৫ মে মার্কিন মুলুকের মিনিয়াপোলিয়সে কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েডের হত্যার পর থেকেই ফুঁসছে মার্কিন মুলুক। দেশে জুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ, আন্দোলন। আন্দোলনকারীরা হোয়াইট হাউসের সামনেও জড়ো হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ট্রাম্পের পুলিশ তাদের উপর কাঁদানে হ্যাসের শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে। এরপরেই টিফনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে পোস্ট করেন।
২৬ বছর বয়সী ট্রাম্প কন্যা ইনস্টাগ্রাম ও ট্যুইটারে লিখেছেন, ‘একা থাকলে আমরা কিছুই আদায় করতে পারব না। ঐক্যবদ্ধ হলে আমাদের দাবি সকলে মানতে বাধ্য হবে।’ টিফানি হ্যাশট্যাগ দিয়েছেন, ‘ব্ল্যাক টুইসডে’ এবং ‘জাস্টিস ফর জর্জ ফ্লয়েড’।
আন্দোলনে সমর্থন জানানোর জন্য নেটিজেনরা টিফানির প্রশংসা করেছেন। এর পর অনেকেই টিফনিকে পরামর্শ দেন, তিনি যেন তার বাবা ডোনাল্ড ট্রাম্পকে এই বিক্ষোভের কারণ ব্যাখ্যা করেন।