সংক্ষিপ্ত
- ভারত এবং চিনের ওপর ফের আক্রমণ শানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
- আর 'উন্নয়নশীল দেশ'এর তকমা পাবেন না ভারত ও চিন
- ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে এই দুই দেশ
- এই দুই দেশের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক বলে দাবি জানিয়েছেন ট্রাম্প
ভারত এবং চিনের ওপর ফের আক্রমণ শানালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এদিন জানিয়েছেন, আর 'উন্নয়নশীল দেশ'-এর তকমা পাবেন না ভারত ও চিন। এদিন তিনি জানিয়েছেন, উন্নয়নশীল দেশের তকমা থাকায় বিশ্ব বাণিজ্য় সংস্থা বা ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশনের যাবতীয় সুযোগ সুবিধা নিচ্ছে এই দুই দেশ। এই বিষয়টি আর খুব বেশিদিন চলতে দেওয়া যাবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
প্রসঙ্গত, এর আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বিশ্ব বাণিজ্য় সংস্থার কাছে জানতে চেয়েছিলেন যে, সংস্থার সদস্য দেশগুলিকে কীসের ভিত্তিতে উন্নয়নশীল দেশের তকমা দেওয়া হয়ে থাকে। এদিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দাবি করেন, যেসব দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আগে খারাপ ছিল, কিন্তু বর্তমানে সে অবস্থা তুলনামুলকভাবে ভাল ছিল, সেইসব দেশ বর্তমানেও কীভাবে উন্নয়নশীল দেশের তকমা পেতে পারে সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছিলেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
স্বাধীনতার সকালে অন্যরূপে ধরা দিলেন মোদী, প্রোটোকল ভেঙে শিশুদের সঙ্গে মিলে গেলেন প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার একটি সমাবেশে দাঁড়িয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, এশিয়ার অর্থনীতিতে বৃহৎ দুই দেশ হল ভারত ও চিন। কিন্তু এই দুই দেশ বর্তমানে আর উন্নয়নশীল দেশের পর্যায়ে নেই। তাই এই দুই দেশ কিন্তু আর ওয়ার্ল্ড ট্রেড অর্গানাইজেশন প্রদত্ত 'উন্নয়নশীল দেশ'-এর তকমায় প্রদত্ত যাবতীয় সুযোগসুবিধা নিতে পারে না। এবার এই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করার প্রয়োজন রয়েছে।
প্রসঙ্গত,একাধিক মার্কিন পণ্যের ওপর ভারত ও চিন যে বিপুল পরিমাণে শুল্ক চাপায়, বরাবরই তার বিরুদ্ধে সওয়াল করে এসেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশেষত চিনের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্যযুদ্ধও কিন্তু সাম্প্রতিককালের একটি অন্যতম উল্লেখযোগ্য বিষয়। এই প্রসঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দাবি, বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা প্রদত্ত এই 'উন্নয়নশীল দেশ'-এর তকমা গায়ে লাগিয়েই এইসব দেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর অবাধে শুল্ক চাপাতে থাকে। আর সেই কারণেই এইসব দেশে আমেরিকার ব্যবসা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আর সেই কারণেই এইসব দেশের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।