সংক্ষিপ্ত

এই মহিলা ফোনে আরও অনেক ছাত্রের সাথে কথা বলতেন এবং তাদের অশ্লীল মেসেজ করতেন। বর্তমানে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে।

শিক্ষকতা। সমাজের চোখে অত্যন্ত সম্মানীয় পেশা। শিক্ষককে ভগবানের চোখে দেখা হয়। বাবা মায়ের পরেই জীবনে যেন স্থান পান তাঁরা। কিন্তু মাঝে মাঝে কিছু ঘটনা এই পেশাকে নিয়েও মজা করে। সেখানে ছাত্র শিক্ষক উভয়েই ছোট হয়ে যান। এমনই একটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে আমেরিকা থেকে। 

পুলিশ সূত্রে খবর এক মহিলা শিক্ষককে তার নিজের এক ছাত্রের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এই শারীরিক সম্পর্কের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই শিক্ষিকাকে। শিক্ষিকা শিক্ষার্থীকে তার গাড়িতে বসিয়ে নেন বাড়ি পৌঁছে দেবেন বলে। এরপরেই তার সঙ্গে জোর করে উদ্দাম যৌনতায় লিপ্ত হন বলে অভিযোগ। 

আসলে ঘটনাটি যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার একটি অত্যন্ত ব্যয়বহুল স্কুলের। একটি অনলাইন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একই স্কুলের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে তার গাড়িতে স্কুলের এক নাবালক ছাত্রের সঙ্গে যৌন সম্পর্কের অভিযোগ উঠেছে। যখন গোটা ঘটনা সামনে চলে আসে, তখন ওই ছাত্র সব কথা স্বীকার করে নেয়। উল্লেখ্য, ছাত্রের বয়ানেই ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়। পরে শিক্ষিকাকে সম্প্রতি গ্রেপ্তার করা হয়। 
শুধু তাই নয়, ৩৮ বছর বয়সী এই মহিলা শিক্ষিকার মোবাইল থেকে ছাত্রীর বেশ কিছু আপত্তিকর ছবি ও ভিডিও পাওয়া গেলে স্কুল প্রশাসন তৎপর হয়। জানা গেছে, দুজনেই প্রথমে ইনস্টাগ্রামের মাধ্যমে কথা বলা শুরু করেন এবং তারপর ধীরে ধীরে দুজনেই কথা বলতে শুরু করেন।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, আগস্টের শুরুতে ওই শিক্ষক শিক্ষার্থীকে গাড়িতে বসিয়ে গাড়িতে ছবিও তোলেন, এ সময় দুজনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। ওই মহিলার মোবাইল থেকে আপত্তিকর ছবি পেয়ে ওই শিক্ষিকাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ আরও জানিয়েছে যে এই মহিলা শিক্ষক ফোনে আরও অনেক ছাত্রের সাথে কথা বলতেন এবং তাদের অশ্লীল মেসেজ করতেন। বর্তমানে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা দায়ের করা হয়েছে। স্কুলও মহিলা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে এবং তাকে স্কুল থেকে বের করে দিয়েছে।