সংক্ষিপ্ত
- জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের পাশাপাশি মোদী ও ট্রাম্প দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন
- হোয়াইট হাউসের দাবি, ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করেছেন ট্রাম্প
- একে জি৭ সম্মেলনের সেরা পাঁচ সাফল্যের একটি বলছে আমেরিকা
- কিন্তু কীভাবে ট্রাম্প উত্তেজনা কমালেন সেই প্রশ্ন উঠছে
সোমবার জি৭ শীর্ষ সম্মেলনের মধ্য়েই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আলাদা করে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন মার্কিন প্রসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে। এরপর দুই রাষ্ট্র নেতাই নিজ নিজ দেশে ফিরে গিয়েছেন। তারপরই হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে দাবি করা হল , ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনার আঁচ কমাতে সহায়তা করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। শুধু তাই নয়, একে তাদের জি৭ সম্মেলনের সেরা পাঁচ সাফল্যের একটি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
হোয়াইট হাউসের প্রকাশিত প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী, ঐক্যের বার্তা, উইরোপীয় দেশের সঙ্গে বানিজ্যিক সম্পর্ক দৃঢ় করার মতো বিষয়ের পাশাপাশি ভারত -পাকিস্তানের মধ্যের উত্তেজনা কমাতেও সদর্থক ভূমিকা নিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প।
বলা হয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রপ মোদীর সঙ্গে বৈছকে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে আলোচনার প্রয়োজনীয়তার উপর ফের জোর দিয়েছেন। একই সঙ্গে ভারত ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ভাল অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রচেষ্টার উপরও জোর দিয়েছেন।
হোয়াইট হাউস ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা কমাতে ট্রাম্পের ভূমিকার কথা বললেও, তিনি ঠিক কীভাবে এই উত্তেদনা কমালেন, সেই নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ সোমবারের বৈঠকে ট্রাম্পের সামনেই প্রদানমন্ত্রী মোদী মন্তব্য করেছিলেন কাশ্মীর, ভারত-পাকিস্তানের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। এই নিয়ে কোনও তৃতীয় পক্ষ বা দেশকে বিব্রত করতে চায় না ভারত।
মোদাীর এই অবস্থানকে তৎক্ষণাত মাথা নেড়ে সায় জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। এরপর হোয়াইট হাউসের এই বিবৃতির পর সংশ্লিষ্ট মহলে প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে কি শান্তি ফেরাতে নরেন্দ্র মোদীর উপরই আস্থা রাখছে মার্কিন প্রশাসন? এর আগে বহুবার ট্রাম্প দুই দেশের মধ্যে মধ্যস্থার কথা বলেছেন। কিন্তু এবার বোধহয় 'বন্ধু' মোদীর উপরই বিষয়টি ছাড়তে চাইছেন তিনি। আফগানিস্তানের শান্তি প্রক্রিয়ায় ভারতের ভূমিকারও প্রশংসা করেছে হোয়াইট হাউস।