সংক্ষিপ্ত

ক্রমে ছোট হয়ে আসছে পুরুষাঙ্গ

ক্রমেই বাড়ছে ক্ষুদ্র পুরুষাঙ্গ নিয়ে জন্মানো শিশুর সংখ্যা

হুমকির মুখে মানব সভ্যতাই

কিন্তু কেন এমন হচ্ছে

যতদিন যাচ্ছে, ছোট হয়ে আসছে পুরুষাঙ্গ। ক্রমেই বাড়ছে ক্ষুদ্র, দুর্বল পুরুষাঙ্গ নিয়ে জন্মানো শিশুদের সংখ্যা। আর এই কারণে হুমকির মুখে পড়তে চলেছে মানব সভ্যতা। এমনই ভয়ঙ্কর সতর্কবার্তা দিয়েছেন এক পরিবেশ।

বিশ্বের অন্যতম সেরা পরিবেশ ও প্রজনন মহামারি বিশেষজ্ঞ শান্না সোয়ান সম্প্রতি 'কাউন্ট ডাউন' নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেছেন। এই বইয়ে তিনি বলেছেন, এর কারণ ক্রমবর্ধমান দূষণ। তাঁর দাবি গত কয়েক বরে যেভাবে দুষণ বেড়েছে, তাতে মানব সভ্যতার অস্তিত্বই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। সোয়ানের মতে, দূষণের ফলে দিন দিন মানুষের পুরুষাঙ্গ ক্ষুদ্র হয়ে যাচ্ছে এবং যৌনাঙ্গ দুর্বল হয়ে পড়ছে। এইভাবে চলতে থাকলে একদিন পরিস্থিতি এমন দাঁড়াবে যে মানব প্রজননই হয়তো আর সম্ভব হবে না।

ফ্যালেট (Phthalates) বলে একটি রাসায়নিক পদার্থের ফলে এমনটা ঘটছে বলে দাবি করেছেন ওই প্রক্যাত বৈজ্ঞানিক। তিনি জানিয়েছেন, প্লাস্টিক তৈরি করার সময় এই ফ্য়ালেট ব্যবহার করা হয়। এই রাসায়নিক হরমোন উত্পাদনকারী এন্ডোক্রাইন সিস্টেমকে প্রভাবিত করে। গবেষণার সময়, শান্না সোয়ান ফাটালেট সিনড্রোম পরীক্ষা করে দেখেছিলেন যে যখন ভ্রূণকে রাসায়নিকের সংস্পর্শে আনা হয়েছিল, তখন তারা সঙ্কুচিত যৌনাঙ্গে জন্মগ্রহণ করার সম্ভাবনা রয়েছে।

আধুনিক বিশ্ব কীভাবে শুক্রাণু গণনা কমিয়ে দিচ্ছে, পুরুষ ও মহিলা প্রজননকে পরিবর্তিত করছে এবং মানব জাতির ভবিষ্যতকে বিপদে ফেলছে এই নিয়েই গবেষণা করছিলেন শান্না সোয়ান। সেই সময় তিনি দেখেছিলেন, যেসকল শিশু ভ্রূণাবস্থায় ফ্যালেটের সংস্পর্শে আসে তাদের ক্ষুদ্র যৌনাঙ্গ নিয়ে জন্মগ্রহণ করার সম্ভাবনা বেশি থাকে। কারণ , ফ্যালেটের সংস্পর্শে আসলে তাদের 'অ্যানোজেনিটাল ডিসট্যান্স' কম হয়ে যায়, এটিই পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ নির্ধারণ করে। সোয়ানের মতে খেলনা বা খাবারের মতো জিনিসের মাধ্যমে এটি মানব সরিয়ে প্রবেশ করে হরমোনের প্রাকৃতিক উত্পাদন ব্যাহত করে।