সংক্ষিপ্ত
আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের জন্য বিশেষ ড্রোন ব্যবহার করেছিল। যা শুধুমাত্র লক্ষ্যবস্তুকেই নিশানা করে।
রবিবার আফগানিস্তানের মাটিতে ইসলামিক স্টেট জঙ্গিদের ওপর লক্ষ্য করে মার্কিন সেনা ড্রোন হামলা চালিয়েছিল। তা সরাসরি স্বীকার করে নিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। পাশাপাশি মার্কিন সেনার দাবি করেছিল তারা এমন ড্রোন ব্যবহার করছে যা দেশের সাধারণ মানুষকে রক্ষা করছে। শুধুমাত্র টার্গেট ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদেরও ধ্বংস করেছিল। সূত্রের খবর রবিবার মার্কিন সেনা ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের নিশানা করেছিল 'flying Ginsu' 'উডন্ত জিনসু' দিয়ে। মার্কিন সেনার দাবি নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্র শুধুমাত্র টার্গেটকেই ধ্বংস করে। সেই জন্য সাধারণ মানুষের মধ্যে হতাহতের সংখ্যা অনেকটাই কমিয়ে দেয়।
সূত্রের খবর মার্কিন সেনা সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশের আল-কায়দা ও সংশ্লিষ্ট হুররাস আর-দিন সংগঠনের আবু ইয়াহিয়া আল -উজবেকিকে হয়্যা করার জন্য গত বছর অগাস্টে হেলফায়ার ক্ষেপণাস্ত্রের R9X রূপটি ব্যবহার করেছিল। তবে এজাতীয় ক্ষেপণাস্ত্র এই নিয়ে দ্বিতীয় বার আফগান মাটিতে ব্যবহার করল মার্কিন সেনা। সূত্রের খবর ২০১৭ সালে আফগানিস্তানে মহাবুল্লাহ নামের এক তালিবান নেতা সহ আল কায়দা কমান্ডার আবু খায়ের আল মাসরীকে হত্যা করার জন্য এজাতীয় সমরাস্ত্র ব্যবহার করেছিল।
করোনার নতুন রূপ আরও ভয়াবহ বলেই আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের, C.1.2 চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে টিকাকেও
মার্কিন সেনা সূত্রে খবর ড্রোনের মাধ্যমে ফেলা হয়েছিল নিনজা বোমা। এই বোমাটি তৈরি হয়েছিস ১০০ পাউন্ড ধাতু দিয়ে। এটি ফেললে কোনও গাড়ি বা বাড়ির ওপরের অংশটি চূর্ণ হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের জটলা থেকে টার্গেটকে সরিয়ে অনে ধ্বংস করে। তারণ এটি বাড়ি বা গাড়ির ওপরের অংশটি টেনে আনতে পারে বলেও দাবি করা হয়েছে। বোমাটির বিভিন্ন পে লোড রয়েছে। দাবি করা হয়েছে দীর্ঘ ছটি ব্লেডের হ্যালো -জঙ্গিদের লক্ষ্য করতেই ব্যবহার করা হয়। মার্কিন সেনা অনেক সময় এটিকে তলোয়ারে ভরা উল্কা হিসেবেই বর্ণনা করে। একটি সূত্র দাবি করছে এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তৈরি সর্বশেষ আধুনিক অস্ত্র। গত বছর জানুয়ারিতে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সময় আমেকিরা MQ9 রিয়ার ব্যবহার করেছিল। এই অস্ত্র দিয়ে ইরানের সাবেক কুদস ফোর্স কমান্ডার কাসেম সোলাইমানি ও ইরাক বাহিনীর প্রাক্তন কমান্ডার আবু মাহদি আল মুহান্দিসকে হত্যা করা হয়েছিল।
আফগানিস্তানে তালিবানদের জয় ভারতের কাছে বিপদ ঘণ্টা, পাক সীমান্তে বাড়ছে জঙ্গি আনাগোনা
মার্কিন সামরিক বাহিনী ড্রোন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। আগামী দিনে নৌবাহিনীতেও ড্রোনের ব্যবহার করার পরিকল্পানা নেওয়া হয়েছে। পেন্টাগন জানিয়েছে ২০২৪ সালের মধ্যে তিনটি এমকিউ ২৫ এরিয়াল রিফুয়েলিং ড্রোন তৈরির কাজ শেষ হবে। এই ড্রোন দিয়ে ৫০০ নটিক্যাল মাইলএ ১৫ হাজার পাউন্ড জ্বালানি ভরা যাবে বলেও দাবি করেছে মার্কিন সেনা। এই ড্রোন মার্কিন নৌ বাহিনী বিমান বাহিনী ইতিহাস তৈরি করছে। কারণ এই ড্রোনের সাহায্যে একটি বিমান যতক্ষণ ইচ্ছে আকাশে রাখা যাবে। সমুদ্রে রাখা যাবে যুদ্ধ জাহাজকে।