সংক্ষিপ্ত

আঠারো বছর বয়সে কোথায় বেড়াতে যাওয়ার কথা ভাবতেন আপনি? বাবার কিনে দেওয়া টিকিট নিয়ে মহাকাশে বেড়াতে যাচ্ছেন এই যুবক।

'আঠারো বছর বয়স কী দুঃসহ
র্স্পধায় নেয় মাথা তোলবার ঝুঁকি,
আঠারো বছর বয়সেই অহরহ
বিরাট দুঃসাহসেরা দেয় যে উঁকি।'

আঠারো বছর বয়সে যে ম্যাজিক আছে, অনেকদিন আগেই বুঝেছিলেন সুকান্ত ভট্টাচার্য। আর আগামী সপ্তাহে এই ঠিক ১৮ বছর বয়সেই সর্বকনিষ্ঠ ব্যক্তি হিসাবে মহাকাশে পাড়ি দিতে চলেছেন অলিভার ডিমেন। অ্যামাজনের সদ্য প্রাক্তন সিইও জেফ বেজোস-এর মহাকাশ পর্যটন সংস্থা 'ব্লু অরিজিন'এর প্রথম সফরে, ২০ জুলাই বেজোস ভাইদের সঙ্গী হচ্ছেন অলিভার। গত বৃহস্পতিবার ব্লু অরিজিন সংস্থার পক্ষ থেকেই এই কথা জানানো হয়েছে।

অলিভারের মহাকাশযাত্রা অবশ্য অনেকটা ভাগ্যের খেল বলা চলে। জেফ বেজোস তাঁর সফরসঙ্গী হয়ে মহাকাশ ভ্রমণের জন্য একটি আসনের টিকিট নিলাম করেছিলেন। ২ কোটি ৮০ লক্ষ ডলার খরচ করে সেই টিকিট ক্রয় করেছিলেন এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি। কিন্তু সময়সূচির জটিলতায় তিনি শেষ পর্যন্ত মহাকাশে যেতে পারবেন না জানানোয়, বেজোস নিলামে দ্বিতীয় স্থানে থাকা নেদারল্যান্ডসের বিনিয়োগ সংস্থা 'সমারসেট ক্যাপিটাল পার্টনার্স'-এর সিইও জয়েস ডিমেনকে সুযোগ দিয়েছিলেন। জয়েস, তাঁর বদলে তাঁর ১৮ বছরের পুত্র অলিভার-এর হাতে এই সুযোগ তুলে দেন। তবে কত টাকায় তিনি টিকিটটি পেলেন তা প্রকাশ করেনি ব্লু অরিজিন।

তবে শুধু যে বাবার টাকার জোর আছে, বলেই মহাকাশে যাচ্ছেন অলিভার, এমনটা নয়। তিনি নিজেও কম গুণী নন। আগামী সেপ্টেম্বরে নেদারল্যান্ডসের ইউনিভার্সিটি অব ইউট্রেখটে পদার্থবিদ্যা ও উদ্ভাবন ব্যবস্থাপনা বিভাগে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। বেসরকারি উড়োজাহাজ ওড়ানোর লাইসেন্সও রয়েছে তাঁর।  আর তার মাঝখানেই এসে গেল সর্বকনিষ্ঠ হিসাবে মহাকাশ যাত্রার এই সুযোগ। মহাকাশে যাওযার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর অলিভার বলেছেন, শূন্য-অভিকর্ষের অভিজ্ঞতা এবং উপরে থেকে পৃথিবীকে দেখতে পাবেন বলে দারুণ উত্সাহিত।

View post on Instagram
 

তবে শুধু অলিভার ডিমেনই নন, অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস ও তার ভাই মার্ক বেজোস-এর সঙ্গে অপর যে ব্যক্তি মহাকাশে যাচ্ছেন, সেই পাইলট ওয়ালি ফাঙ্ক-ও রেকর্ড গড়তে চলেছেন। তাঁর বয়স এখন এই অভিযানে অলিভারের পাশাপাশি উইলি ফাঙ্কও রেকর্ড গড়তে চলেছেন। তাঁর বয়স এখন ৮২। সবকিছু ঠিকঠাক চললে তিনিই হতে চলেছেন বিশ্বের প্রবীণতম মহাকাশচারী। পৃথিবী থেকে ১০০ কিলোমিটার উপরে উঠে কিছুক্ষণ ভার শূন্যতা অনুভব করে আবার পৃথিবীর বুকে নেমে আসবেন বেজোস-রা।