সংক্ষিপ্ত

কোয়াড গ্রুপের বাকি সদস্যদের কথা বলতে গিয়ে জো বাইডেন জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন রাশিয়ার পুতিনের বিরুদ্ধে জাপান শক্তিশালী দেশে হিসেবে দাঁড়িয়েছে। পাশে রয়েছে অস্ট্রেলিয়াও। কিন্তু ভারতের অবস্থান খুবই নড়বড়ে।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ (Russia-Ukraine War) ইস্যুতে ভারতের (India) অবস্থান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন (US President Joe Biden)। তিনি বলেছেন যুদ্ধ ইস্যুতে ভারতের অবস্থান 'নড়বড়ে' (Shaky)। সোমবার তিনি বলেছেন, ইউক্রেন রাশিয়ার আগ্রাসনের পর ভারত যেসব প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তা ওয়াশিংটন মিত্রদেশগুলির মধ্যে ব্যাতিক্রম। তবে কোয়াড গ্রুপের বাকি সদস্যদের প্রশংসা করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পাশাপাশি রুপ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরুদ্ধে যুক্তফ্রন্টের জন্য ন্যাটো, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও প্রধান এশিয়ার প্রধান সহযোগী দেশগুলির প্রশাংসা করেছে। 

কোয়াড গ্রুপের বাকি সদস্যদের কথা বলতে গিয়ে জো বাইডেন জাপান ও অস্ট্রেলিয়ার প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেন রাশিয়ার পুতিনের বিরুদ্ধে জাপান শক্তিশালী দেশে হিসেবে দাঁড়িয়েছে। পাশে রয়েছে অস্ট্রেলিয়াও। কিন্তু ভারতের অবস্থান খুবই নড়বড়ে।  তিনি বলেছেন এই সব দেশের বিরুদ্ধে হেঁটে রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দান থেকেও ভারত নিজেকে সরিয়ে রেখেছিল। রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়ার সমালোচনাও করেনি ভারত। যদিও ভারত সেই সময় জানিয়েছিল যুদ্ধের পক্ষে নয় এই দেশ। সমস্যা মেটানোর জন্য আলোচনাকেই অগ্রাধিকার দিয়েছিল ভারত। 

ওয়াশিংটনে মার্কিন শীর্ষ স্থানীয় ব্যবসায়ীদের একটি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় বাইডেন বলেছেন, ন্যাটো ও প্রশান্ত মহাসাগরে একটি ঐক্যফ্রন্ট ছিল। কিন্তু পুতিন ন্যাটোকে বিভক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু পুতিনের এই চেষ্টার পরিবর্তে ন্যাটো আগের তুলনায় আরও বেশি শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। এত ঐক্যবদ্ধ ন্যাটো আগে ছিল না বলেও মনে করেন তিনি। 

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিবাদে পশ্চিমের দেশগুলির পাশাপাশি আমেরিকাও মস্কোর বিরুদ্ধে একাধিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। আমেরিকা আগেই বলেছে তারা রাশিয়ার থেকে তেল আমদানি বন্ধ করছে। কিন্তু ভারত সম্পূর্ণ উল্টো পথে হেঁটে রাশিয়ার থেকে তেল কিনবে বলে জানিয়েছেন। ভারতের কাছে এই চুক্তি যথেষ্ট অর্থবহ বলেও মনে করেন আর্থিক বিশেষজ্ঞরা। কারণ ভারত রাশিয়ার থেকে সস্তায় তেল কিনবে বলেও জানিয়েছে। যা কোভিড মহামারির পর ভারতের অর্থনীতিকে আরও গতি দেবে বলেও আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। 

ভারতের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে ওয়াশিংটনের সঙ্গে নতুন দিল্লির সম্পর্কে টানাপোড়েন বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছিল। তবে ভারতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে কিনা তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু জানায়নি বাইডেন প্রশাসন। এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন  ভারত যদি রাশিয়ার থেকে তেল কেন তবে তা হবে ঐতিহাসিক ভূল।  কারণ বাইডেন প্রশাসন যুদ্ধের আবহে ভারত-রাশিয়ার সম্পর্ককে  অন্যরকমভাবে দেখছে। 

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কি আবারও ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে, চিন্তা বাড়াচ্ছে আমেরিকা ও চিন

রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পথে ভারত, উস্কে দিল আন্তর্জাতিক বিতর্ক

গোটা বিশ্ব ভেঙে পড়তে পারে স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা, সাইবার হানা নিয়ে সতর্ক করল আমেরিকা