সংক্ষিপ্ত

২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলে। এই এক মাসে কয়েক লক্ষ ইউক্রেনীয় প্রাণ বাঁচতে নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। যাদের অধিকাংশই আশ্রয় নিয়ে পোল্যান্ড সীমান্ত। পোল্যান্ডও ইউক্রনীয়দের জন্য় নিজের দেশের দরজা খুলে দিয়েছে। 

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের (Russia-Ukraine War) আবহে বড় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করল জো বাইডেনের (Joe Biden) প্রশাসন। প্রায় ১ লক্ষ ইউক্রেনীয় শরণার্থীকে (Ukrainian refugees) তাঁদের দেশে আশ্রয় দেবে। পাশাপাশি যুদ্ধের কারণে ইউক্রেন ছেড়ে পালিয়ে আশা অভিবাসীদের সাহায্যের জন্য প্রায় ১ বিলিয়ন ডলার অর্থ সাহায্যের কথাও ঘোষণা করেছে জো বাইডেনের প্রশাসন। এই অর্থ ইউরোপীয় দেশগুলিকে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।   প্রথম থেকেই যুদ্ধের বিরুদ্ধ নিজেদের মতামত জানিয়ে আসছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA)। পাশাপাশি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের তীব্র সমালোচনাও করেছিলেন  তিনি। যুদ্ধ বন্ধ করার আর্জিও জানিয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে রুশ সরকার যাতে আগ্রাসন বন্ধ করে সেই জন্য রাশিয়ার ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে কোনঠাসা করার চেষ্টাও করেছিল বাইডেন প্রশাসন। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ মানবিক পথে হেঁটেই ইউক্রেন ছেড়ে চলে আসা স্থানীয় সাধারণ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিল আমেরিকা। 

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলে। এই এক মাসে কয়েক লক্ষ ইউক্রেনীয় প্রাণ বাঁচতে নিজের ভিটেমাটি ছেড়ে অন্যত্র চলে গেছে। যাদের অধিকাংশই আশ্রয় নিয়ে পোল্যান্ড সীমান্ত। পোল্যান্ডও ইউক্রনীয়দের জন্য় নিজের দেশের দরজা খুলে দিয়েছে। ইউক্রনীয় শরণার্থীরা ইউরোপের অন্যান্য দেশেও আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। রাষ্ট্র সংঘের হিসেবে অনুযায়ী প্রায় ২ মিলিয়ন ইউক্রেনীয় শরণার্থী হয়েছে। 

কিন্তু একমাস পরে রাশিয়ার হামলায় প্রায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত রাশিয়া পিছু হাঁটবে না বলেও জানিয়েছে।  রুশ সেনার বিরুদ্ধে নিজেদের শেষ শক্তি পর্যন্ত দিয়ে লড়াই করবে- দেশের স্বাধীনতা রক্ষা করবে- এমনটাই জানিয়েছে ইউক্রেন। রাশিয়া প্রথম দিকে গোটা ঘটনাটিকে সামরিক অভিয়ান বলে চিহ্নিত করলেও বর্তমান ইউক্রেনের আবাসিক এলাকা তছনছ করে দিচ্ছে। গুঁড়িয়ে দিয়েছে ইউক্রেনের স্কুল। শিশু হাসপাতালও রেহাই পায়নি রুশ আগ্রাসন থেকে। 

রাশিয়ান- ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে বাইডেন আগেই বলেছিলেন সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনের হয়ে যুদ্ধ করবে না। কারণ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি যুদ্ধ করে তাহলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ অনিবার্য হয়ে দাঁড়াবে। তাতে আদতে ক্ষতি হবে বিশ্বের। কারণ এখন বিশ্বের অধিকাংশ দেশের হাতেই রয়েছে পারমাণবিক অস্ত্র। অন্যদিকে ইউক্রেন ন্যাটোর সদস্য হতে চেয়েছিল বলে রাশিয়া যুদ্ধ ঘোষণা করেছে- সেই ন্যাটো ফিরিয়ে দিয়েছে কিয়েভকে। তারপরেই যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। 

বিস্তারিত আসছে ...