সংক্ষিপ্ত
বিবৃতিতে বলা হয়েছে তালিবানরা যেভাবে আগের সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্তব্যক্তিতে নির্মম ভাবে হত্যা ও গায়েব করে দিচ্ছে সেই রিপোর্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সঙ্গী দেশগুলির হাতে রয়েছে।
আফগানিস্তানের (Afghanistan) পূর্বতন সরকারের প্রাক্তন সদস্যদের নিশানা করা ও তাদের হত্যা করা এবার বন্ধ হোক। তালিবান (Taliban) সরকারের কাছে তেমনই আবেদন জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) ও মিত্র দেশগুলি। ২২টি দেশের পক্ষ থেকে এটি যৌথ বিবৃতি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে ইসলামপন্থী সরকার তাদের প্রাক্তন সরকার বা নিরাপত্তা কর্মীদের ক্ষতি না করে তাদের পাশে দাঁড়াক। কারণ তারাও আফগানিস্তানের নাগরিক।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে তালিবানরা যেভাবে আগের সরকারের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও সরকারি কাজের সঙ্গে যুক্তব্যক্তিতে নির্মম ভাবে হত্যা ও গায়েব করে দিচ্ছে সেই রিপোর্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার সঙ্গী দেশগুলির হাতে রয়েছে। সেই রিপোর্ট যথেষ্ট উদ্বেগজনক বলেও দাবি করা হয়েছে। ইসলামের শাসন যারা কায়েম করা তারা এজাতীয় নৃশংস হত্যালীলা চালাতে পারে না বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এই সপ্তাহের শুরুতেই হিউম্যান রাইটস ওয়াচ একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে, চার মাস আগে তালিবানরা আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখল করেছে। এরই মধ্যে ১০০টিরও বেশি মৃত্যুদণ্ড ও অপরহণের রিপোর্ট নথিভুক্ত হয়েছে। রিপোর্টি বলা হয়েছে ১৫ অগাস্ট থেকে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত তালিবানদের কাছে অত্মসমর্পণকারী ও বন্দি হওয়া আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর ৪৭ জন সদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। রিপোর্ট আরও বলা হয়েছে পূর্ববর্তী সরকারি কর্মীদের ক্ষমি করা হবে না বলে তালিবানরা আশ্বাস দিলেও তা মানা হয়নি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মিত্র দেশগুলির বিবৃতিতে বলা হয়েছে তালিবানদের কাজের ওপর নজর রাখা হবে । এভাবে নাগরিকদের হত্যা মেনে নেওয়া হবে না। যৌথ বিবৃতিতে আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ছাড়াও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আরও ১৯টি দেশ সই করেছে। তালিবান সরকারের কাছে শতাধিক হত্যাকাণ্ডের বিচারবিভাগীয় তদন্তেরও দাবি জানান হয়েছে।
যদিও তালিবানরা এখনও পর্যন্ত রয়েছে নিজেদের মতই। পাল্টা তালিবানদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে সেদেশে এমন কোনও ঘটনাই নাকি ঘটেনি। হত্যাকাণ্ডের কোনও প্রমাণও নেই। তবে তালিবানদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এই অভিযোগগুলির স্বাধীন তদন্তের অনুমতি তারা দেবে। সম্পর্ণ সহযোগিতা করবে। কিন্তু আন্তর্জাতিক কোনও সংস্থা তালিবানদের বিষয়ে বা আফগানিস্তানের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারবে না। পাল্টা তালিবানদের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তালিবানরা যথেষ্ট মানবিক।
১৫ অগাস্ট তালিবানরা কাবুলের দখল নিয়েছিল। তারপর থেকে আফগানিস্তানে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তালিবান রাজ। তালিবান সরকারে প্রথম দিকে প্রচুর আফগান যাঁরা ন্যাটো বাহিনী বা পূর্বতন আফগান সরকারের কর্মী বা সহযোগী ছিল তারা দেশ ছেড়ে তড়িঘড়ি পালিয়ে যায়। কিন্ত সেই সময় অনেক দেশে ছেড়ে যায়নি। তালিবানদের বন্দুকের ডগায় তাদের অনেকেই জীবন হাতে নিয়ে রয়ে গেছে। আজ তাদের তালিবান শাসনে তাদের জীবন বিপন্ন।
Expensive City: বিশ্বের সবথেকে দামি শহর তেল আভিভ, সস্তা শহরের তালিকায় রয়েছে ভারত
Heron Drone: ভারতের হাতে হেরন ড্রোন, পূর্ব লাদাকে লাল ফৌজের ওপর নজরদারিতে শক্তিবৃদ্ধি
Omicron: ওমিক্রনের শক্তি থেকে টিকার কার্যকারিতা, করোনার নতুন রূপ সম্বন্ধে জানুন সবকিছু