সংক্ষিপ্ত
রনে একটি অভ্যন্তরীন GPS নেভিগেশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। এটি পূর্বে প্রোগ্রাম করা ফ্লাইট প্রোফাইল বা গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন অর্থাৎ যেখান থেকে ড্রোনটির উড়ান শুরু হয়ে সেখান থেরে কন্ট্রোল করা যায়।
প্রতিপক্ষ চিনা সেনার ওপর নজরদারি চালাতে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কারণ খুব সীমান্তবর্তী এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে হেরন ড্রোন (Heron Drone)। এই সমরাস্ত্র জরুরি ভিত্তিতে ইসরায়েলের থেকে কিনেছে ভারত। সংবাদ সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, উন্নত প্রযুক্তির হেরন ড্রোন ভারতে এসেছে পৌঁছেছে। সেগুলি মোতায়েন করা হচ্ছে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে (Ladakh sector)। পূর্ব লাদাখ সেক্টরে চিনের সঙ্গে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ার পরই জরুরি ভিক্তিতে এই ড্রোন কেনার পরিকল্পনা করেছিল ভারতীয় সেনা বাহিনা।
সেনা সূত্রের খবর আগে ভারতের হাতে যে ড্রোনগুলি ছিল এগুলি তার থেকে অনেক বেশি উন্নত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার দেশের প্রতিরক্ষা বাহিনীর হাতে এই ড্রোনগুলি তুলে দিয়েছে। সীমান্তে চিনা বাহিনীকে প্রতিহত করতে সবমিলিয়ে প্রায় ৫০০ কোটি টাকার যুদ্ধসরঞ্জাম কেনা হয়েছে।
হেরন ড্রোনের বিশেষত্ব
এটি চালকহীন অবস্থায় উড়তে পারে
মাটি থেকে ১০.৫ কিলোমিটার বা ৩৫ ফুট উচ্চতায় সহজেই উড়তে পারে
৫২ ঘণ্টা ঘরে আকাশে উড়ে নজরদারী চালাতে পারে।
একই সঙ্গে এটি বিশেষ অপারেশনও চালাতে পারে
ইসরায়ের প্রথম ২০০৫ সাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে এজাতীয় ড্রোন কেনে। তারপর নিজেরাই ড্রোনটি নিয়ে একাধিক পরীক্ষানিরীক্ষা করে আরও উন্নত তৈরি করেছে। হেরনে একটি অভ্যন্তরীন GPS নেভিগেশন সিস্টেম ব্যবহার করা হয়। এটি পূর্বে প্রোগ্রাম করা ফ্লাইট প্রোফাইল বা গ্রাউন্ড কন্ট্রোল স্টেশন অর্থাৎ যেখান থেকে ড্রোনটির উড়ান শুরু হয়ে সেখান থেরে কন্ট্রোল করা যায়। এটির প্রযুক্তি এতটাই উন্নত যে গ্রাউন্ড স্টেশনের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলে নিজে নিজে বেস বা ল্যান্ডে ফিরে আসতে পারে। এজাতীয় ড্রোনের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল স্টিস্টেমটি নিজেনিজেই পুনরুদ্ধার হতে পারে। আর সমস্ত আবহাওয়ায় এটি কার্যকর।
অন্যদিকে পূর্ব লাদাখ সেক্টরে ক্রমশই শক্তি বাড়াচ্ছে চিন। সূত্রের খবর চিন নতুন হাইওয়ে ও রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। পূর্ব লাদাখ সেক্টরের কাছাকাছে মোতায়েন করা হয়েছে ক্ষেপণাস্ত্র, মোতায়েন করা হয়েছে রকেট রেজিমেন্টও। শীতকাল এগিয়ে আসছে। এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে পূর্ব লাদাখ সেক্টেরের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা (LAC) এলাকায় আবারও সক্রিয় হয়েছে চিন। সূত্রের খবর পূর্ব লাদাখ সেক্টরে দিনের পর দিন বাড়ছে পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যদের যাতায়াত। অন্যদিকে শুধু পূর্ব লাদাখ সেক্টর নয় চিন সক্রিয় হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ সীমান্তে। সদ্যো প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সীমান্ত এলাকা গ্রাম তৈরি করছে চিন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সতর্ক করেছে ভারতকে।
Mamata-Pawar meet: 'কোনও ইউপিএ নেই', শরদ পাওয়ারের সঙ্গে বৈঠকের পরেই বললেন মমতা
KMC Election 2021: দাদার 'ইচ্ছে পুরণে' ৬৮ নম্বর ওয়ার্ডে সুব্রতর বোন, নির্দল প্রার্থী হচ্ছেন তনিমা
Expensive City: বিশ্বের সবথেকে দামি শহর তেল আভিভ, সস্তা শহরের তালিকায় রয়েছে ভারত