সংক্ষিপ্ত
বন্দুকবাজকে ধরতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে মার্কিন পুলিশকে। কারণ ছুটির দিন উৎসবের মধ্যেই এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে গোটা এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল। কুচকাওয়াজ দেখতে আসা দর্শকরাই ছিল তার টার্গেট।
৪ জুলাই মার্কিন স্বাধীনতা দিবসে ইলিনয়েস-এর হাইল্যান্ড পার্কে গুলি চালানোর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত গ্রেফতার। সোমবার পুলিশের হাতে ধরা পড়ে মাত্র ২২ বছরের রবার্ট ক্রিমো। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন রাইফেল ব্যবহার করেছিল। একটি ছাদে দাঁড়িয়ে গুলি চালিয়েছিল। এই ঘটনায় ৬ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গুলিবিদ্ধের সংখ্যা ২৪।
তবে বন্দুকবাজকে ধরতে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়েছে মার্কিন পুলিশকে। কারণ ছুটির দিন উৎসবের মধ্যেই এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে গোটা এলাকায় বিশৃঙ্খলা তৈরি করেছিল। কুচকাওয়াজ দেখতে আসা দর্শকরাই ছিল তার টার্গেট। মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হওয়ায় প্রত্যেকেই প্রাণ ভয়ে এদিক ওদিক দৌড়াতে শুরু করেছিল। মার্কিন পুলিশ জানিয়েছে, শিশুসগ প্রায় ২৪ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছে। যাদের মধ্যে এখনও বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। লেক কাউন্টি মেজর ক্রাইম টাস্ক ফোর্সের মুখপাত্র ক্রিস্টোফাল কোভেলি বলেছেন প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে কুচকাওয়াজের দর্শকদেরই নিশানা করেছিল বন্দুকবাজ। একটি দোকানের ছাদ থেকেই সে গুলি চালিয়েছিল। যার প্রমান পুলিশের হাতে রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।
মার্কিন পুলিশ জানিয়েছে, একটি গাড়িকে ধাওয়া করেই ক্রিমোকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রথমে ক্রিমো নিজেকে মিউজিশিয়ান হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছিল। মার্কিন পুলিশ জানিয়েছে, ক্রিমোর অনলাইন পোস্টগুলি ছিল রীতিমত হিংসাত্মক। যা বন্দুকবাজের মাহাত্ম্য তুলে ধরা হয়। পাশাপাশি গুলি করে হত্যার কথা বলেছিল ক্রিমো। ক্রিমোর নিজের একটি ইউটিউব চ্যানেলও ছিল। তবে সোমবার রাত থেকে দুটোতেই নিস্ক্রিয় ছিল ক্রিমো- তাতেই পুলিশের সন্দেহ বেড়ে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে নিহত ৬ জনের মধ্যে পাঁচ জনই ঘটনাস্থলে মারা গিয়েছিল। একজন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁর মৃত্যু হয়। আহতদের বেশিরভাগই হাইল্যান্ড পার্ক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। যারা হাসপাতালে রয়েছে তাদের মধ্যে ৮ বছরের শিশু যেমন রয়েছে তেমনই রয়েছে৮৫ বছরের বৃদ্ধ। ২৫ জন এখনও হাসপতালে ভর্তি হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক জন মেক্সিকান নাগরিকও রয়েছে। বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ এই মর্মান্তিক ঘটনার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পাশে থাকার কথা বলেছে। পাশাপাশি সমবেদনাও জানিয়েছে।
বন্দুকবাজদের তাণ্ডব রুখতে রীতিমত সক্রিয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। তিনি জানিয়েছে এখনও বন্দুক হিংসার বিরুদ্ধে তিনি হাল ছাড়ছেন না। এটি একটি মহামারিতে পরিণত হয়েছে। তাই এর বিরুদ্ধে তিনি লড়াই চালিয়ে যাবেন। তিনি শেষ পর্যন্ত দেখবেন বলেও জানিয়েছেন।