সংক্ষিপ্ত
ক্লাসের সহপাঠীদেরই ছবির উপর লেখা দাম। বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্য করে তাদের মিছিমিছি কেনাবেচার খেলা খেলছে মার্কিন শিশুরা।
'ভার্চুয়াল স্লেভ ট্রেড' গেম। আর ৫টা ভার্চুয়াল গেমের মতোই ক্রমে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে আমেরিকায়। সম্প্রতি, ওরেগনের নিউবার্গ হাই স্কুলে েরমই েক 'স্লেভ ট্রেড গেম' চক্রের সন্ধান পাওয়া গেল। কী ই ভার্চুয়াল স্লেভ ট্রেড গেম? স্কুলের েকাংশের ছাত্রছাত্রীরা তাদের কৃষ্ণাঙ্গ সবপাঠিদের ছবি পোস্ট করে তাদের নামে জাতিগতভাবে অশ্লীল শব্দ প্রটয়োগ করে। তাদের ক্রীতদাস হিসাবে বিক্রির ভান করে। েমনটা হত, সেই মধ্যযুগীয় সময়ে।
জানা গিয়েছে ওরেগনের ওই স্কুলে নবম শ্রেনির কয়েকজন ছাত্রছাত্রী সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম স্ন্যাপচ্যাটে 'স্লেভ ট্রেড' নামে একটি গ্রুপ খুলেছিল। সেখানেই স্কুলের কৃষ্ণাঙ্গ ছাত্রছাত্রীদের ক্রীতদাস হিসাবে কল্পনা করে তাদের কেনাবেচার মূল্য নির্ধারণ করা হত। তাদের ছবি শেয়ার করে, কার জন্য কত টাকা দেওয়া যায়, তাই নিয়ে অশ্লীল রসিকতা চলত। জাতিগত ও সমকামী অশ্লীল শব্দ ব্যবহার করা হতো কৃষ্ণাঙ্গ ছাত্রছাত্রীদের সম্পর্কে। স্কুলের অধ্যক্ষ তামি এরিয়ন, তার স্কুলে যে সোশ্যাল মিডিয়াকে ব্যবহার করে যে এই বর্ণবিদ্বেষী গোষ্ঠী আড্ডা চলত, তা নিশ্চিত করেছেন। এক বিবৃতি প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীদের এই আচরণ এবং কার্যকলাপে তারা অত্যন্ত হতাশ।
তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে এখনও তদন্ত চলছে। তাই সুনির্দিষ্ট কোনও মন্তব্য করা যাচ্ছে না। তবে, বিষয়টি হেমস্থা, ধর্ষণ এবং সম্ভাব্য শাস্তিমূলক কর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই, শিক্ষা বোর্ডের নীতি অনুসরণ করে সেই মতোই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই কাজের তীব্র নিন্দা করে তিনি আরও জানিয়েছেন, েটা আমেরিকানদের বিশ্বাসের পরিপন্থী। একটি সম্প্রদায় হিসাবে, বৈচিত্র্য, সাম্য, অন্তর্ভুক্তির জন্য লড়াই করেন আমেরিকানরা।
তবে এই ধরমের ঘটনা মার্কিন মুলুকে প্রথম হল, তা নয়। চলতি বছরের শুরুতেই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে আরও েক স্কুলে ভার্চুয়াল স্লেভ-ট্রেডিং গেম'-এ জড়িয়ে পড়তে দেখা গিয়েছিল সেখানকার ছাত্রছাত্রীদের। স্কুল প্রশাসকরা সেই ঘটনা আবিষ্কার করে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। সেখানেও কৃষ্ণাঙ্গ শিক্ষার্থীদের ছবির সঙ্গে 'দাম' সংযুক্ত করা হয়েছিল। টেক্সট করে ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিত 'জাতিগতভাবে অশ্লীল ভাষা' ব্যবহার করে তাদের বিক্রি করার ভান করত।