ইতিহাস গড়লেন নাসার মহাকাশচারী ক্রিস্টিনা কচ, জেসিকা মেইর প্রথম শুধুমাত্র মহিলাদের নিয়ে গড়া দল হিসেবে স্পেস ওয়াক করলেন তাঁরা আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের একটি খারাপ হয়ে যাওয়া পাওয়ার কন্ট্রোল ইউনিট বদলাতে বের হন প্রায় পাঁচট-সাড়ে পাঁচ ঘন্টা স্পেস স্টেশনের বাইরে থাকবেন তাঁরা 

ইতিহাস গড়লেন নাসার মহাকাশচারী ক্রিস্টিনা কচ, জেসিকা মেইর। প্রথম শুধু মহিলা দল হিসেবে স্পেস ওয়াক বা মহাকাশে হাঁটলেন তাঁরা। তবে শুধু হাঁটা নয়, তাঁদের উপর রয়েছে বড় দায়িত্ব, অন্তর্জাতিক মহাকাস স্টেশনের একটি খারাপ হয়ে যাওয়া পাওয়ার কন্ট্রোল ইউনিট বদলাতে হবে তাঁদের। শুক্রবার ভারতীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের দরজা খুলে বেরিয়ে আসেন তাঁরা।

Scroll to load tweet…

সাতমাস আগেই এই অল উইমেন স্পেস ওয়াক বা মহিলা দলের মহাকাশ চারণা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময় একমাত্র মহাকাশ স্টেশনে একটিমাত্র মিডিয়াম সাইজের স্পেসস্যুট ছিল। এই বিষয় নিয়ে সেই সময় মহাকাশ সংস্থাগুলির যথেষ্ট সমালোচনাও হয়েছিল। এরপর চলতি মাসেই নাসার পক্ষ থেকে আরও একটি মিডিয়াম সাইজের স্পেসস্যুট পাঠানো হয়।

স্পেসওয়াকে বের হওয়ার ঠিক আগেই কচ বলেন, 'আমরা যা করতে যাচ্ছি তা ঐতিহাসিক, তাই এই স্পেসওয়াক দারুণ গুরুত্বপূর্ণ। বর্তমানে স্পেস পোগ্রামে সব পক্ষের অবদান গৃহীত হচ্ছে। প্রত্যেকের নিজস্ব ভূমিকা রয়েছে। এতে সাফল্যের সম্ভাবনা আরও বেড়েছে।'

Scroll to load tweet…

গত মার্চ থেকেই স্পেস স্টেশনে রয়েছেন কচ। এদিন তিনিই প্রথম স্পেস স্টেশনের বাইরে পা রাখেন। তিনি আগেও অন্যান্য পুরুষ সহযোগীর সঙ্গে মহাকাশে হেঁটেছেন। মেইর-এর মহাকাশ চারণা এই প্রথম। কচের পিছনেই ছিলেন তিনি। দুজনের হাতেই ছিল বিভিন্ন যন্ত্রপাতির ব্যাগ। এদিন তাদের কাজ করতে প্রায় পাঁচ-সাড়ে পাঁচ ঘন্টা লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।

১৯৬৫ সালে প্রথম মানুষ হিসেবে মহাকাশে হেঁটেছিলেন রাশিয়ান নভোশ্চর আলেক্সেই লিওনভ। সম্প্রতি তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ১৯৬৫ সালের পর থেকে মোট ২১৩ জন পুরুষ ও ১৪ জন মহিলা নভোশ্চর স্পেস ওয়াক করার সুযোগ পেয়েছেন। প্রথম মহিলা নভোশ্চর হিসেবে এই কীর্তির অধিকারী হয়েছিলেন স্বেতলানা সাভিতস্কায়া। ১৯৮৪ সালে তিনি সোভিয়েত রাশিয়ার স্পেস স্টেশন সালিয়ুত ৭ থেকে মহাকাশে হেঁটেছিলেন। কিন্তু শুধুমাত্র মহিলাদের নিয়ে গঠিত দলের স্পেসওয়াক এই প্রথম।