Rash purnima 2021: সময়ের সঙ্গে ক্রমশ জৌলুস কমেছে মল্ল রাজাদের রাসের, এখানকার রাসের ইতিহাস অনেকেরই অজানা
জগৎ মল্ল ছিলেন মল্ল রাজবংশের আদি পুরুষ। তাঁর আমলে বিষ্ণুপরের প্রথম মা মৃণ্ময়ীর মন্দির নির্মিত হয়। মল্ল রাজারা ছিলেন শক্তির উপাসক। দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল মল্লরাজবংশের অনেক পুরুষ।
জগৎ মল্ল ছিলেন মল্ল রাজবংশের আদি পুরুষ। তাঁর আমলে বিষ্ণুপরের প্রথম মা মৃণ্ময়ীর মন্দির নির্মিত হয়। মল্ল রাজারা ছিলেন শক্তির উপাসক। দেখতে দেখতে পার হয়ে গেল মল্লরাজবংশের অনেক পুরুষ। মল্ল রাজসিংহাসনে তখন ধারীমল্ল। আর এই ধারীমল্লেরই পুত্র বীর হাম্বীর। ধারীমল্লের মৃত্যুর পর রাজ্যের শাসনভার বীর হাম্বীরের ওপর বর্তায়। রাজা হবার পর তাঁর বিচক্ষণ রাজনৈতিক বুদ্ধি আর অসীম বীরত্বের গল্প বিষ্ণুপুর জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে। মল্ল রাজাদের ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায় তাঁর সময়েই মল্লভূমরাজ্য উন্নতির চরমশিখরে আরোহণ করেছিল। বীর হাম্বীর রাসমঞ্চ নির্মাণের পর কার্তিক পূর্ণিমার দিন গুরু শ্রীনিবাস আচার্যের উপস্থিতিতে ঘটা করে রাস উৎসব পালন করেন। রাসমঞ্চে সারা বছর কোনো পূজা হত না। রাসমঞ্চে কোনো মূর্তি প্রতিষ্ঠা করা হয়নি। প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসের রাসপূর্ণিমা তিথিতে বার্ষিক রাস উৎসব হত ধূমধাম করে। রাস উদযাপনের সময় বিষ্ণুপুরের অন্যান্য মন্দিরের দেব-বিগ্রহ জনসাধারনের দর্শনের জন্য এখানে নিয়ে এসে পুজো করা হত। রাধাকৃষ্ণের মূর্তি অলিন্দে সাজিয়ে রাসলীলা করা হত। রাসমঞ্চের উঁচু বেদীতে রাসযাত্রা ও অভিনয় হত। দর্শকরা বসতেন মঞ্চের দক্ষিণ ও পুর্বের সমতল জায়গায়। দর্শকদের যাত্রাভিনয় দেখার জন্য ছিল সুব্যবস্থাও। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায়, ১৬০০ সাল থেকে ১৭৬০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর ধূমধাম করে রাসমঞ্চে রাস উৎসব পালিত হত। তারপর ধীরেধীরে এর প্রভাব কমতে থাকে।