Keshab Chandra Sen: ব্রাহ্ম কেশব কেন হয়েছিলেন 'পরমহংসের শিষ্য', যা অনেকেরই অজানা

১৮৯৬ সালে ম‍্যাক্সমূলার Nineteenth Century পত্রিকায় “A Real Mahatman” নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। সেখানে কেশবচন্দ্র সেনকে তিনি 'পরমহংসদেবের শিষ‍্য' বলে অভিহিত করেন। 

Share this Video

১৮৯৬ সালে ম‍্যাক্সমূলার Nineteenth Century পত্রিকায় “A Real Mahatman” নামে একটি প্রবন্ধ লেখেন। সেখানে কেশবচন্দ্র সেনকে তিনি 'পরমহংসদেবের শিষ‍্য' বলে অভিহিত করেন। অন্যদিকে শ্রীরামকৃষ্ণ কেশবচন্দ্র প্রসঙ্গে একজায়গায় বলছেন, “দেখ, কেশব এত পণ্ডিত মানুষ। ইংরাজিতে লেকচার দেয়। কত লোকে তাকে মানে। স্বয়ং কুইন ভিক্টোরিয়া তার সঙ্গে বসে কথা কয়েছে। সে কিন্তু এখানে যখন আসে, শুধু গায়ে আসে। সাধুদর্শন করতে হলে হাতে কিছু আনতে হয়, তাই ফল হাতে করে আসে। একেবারে অভিমানশূন্য।” কলকাতার অভিজাত পরিবারের সন্তান কেশবচন্দ্র সেন ১৮৩৮ সালের ১৯ নভেম্বর জন্মগ্রহন করেন৷ বাবা প্যারীমোহন সেন, মা সরলা সুন্দরী দেবী। পিতামহ দেওয়ান রামকমল সেন ছিলেন রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গলের প্রথম ভারতীয় সেক্রেটারি। বুঝতেই পারছেন পারিবারিক দাপট। ব্রাহ্ম কেশব বদলে গেলেন শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্যে। কী এমন ঘটল যে মনেপ্রাণে ব্রাহ্ম কেশব হঠাৎ করে পরমহংসের শিষ্য হয়ে গেলেন। যদিও কেশবচন্দ্র একা নন সেযুগে শ্রীরামকৃষ্ণের সান্নিধ্যে ব্রাহ্ম রামচন্দ্র দত্ত থেকে সুরেশ মিত্রর মত ধনী মানুষ শ্রীরামকৃষ্ণের গৃহী ভক্ত হয়ে ওঠেন। শ্রীরামকৃষ্ণের প্রিয়তম শিষ্য নরেনন্দ্রনাথেরও প্রথম জীবনে ব্রাহ্মমন্দিরে আনাগোনা ছিল। কিন্তু কেশবচন্দ্র ছিলেন সবার থেকে আলাদা। ব্রাহ্ম সমাজে যেমন ছিলেন দেবেন ঠাকুরের স্নেহধন্য ঠিক তেমনি রামকৃষ্ণ বলয়েও কেশব ছিলেন মধ্যমণি। ১৮৮৪ সালে ৮ জানুয়ারি প্রয়াত হন কেশবচন্দ্র সেন। আর পরম পুরুষ শ্রীরামকৃষ্ণদেবের তিরোভাব ঘটে তার আড়াই বছর পরে ১৬ অগাস্ট, ১৮৮৬ সালে।

Related Video