লাগাতার বর্ষণে অসমের ৬ জেলায় বন্যা পরিস্থিত, ভাঙল রাস্তা, মৃত্যু-গৃহহারা মানুষ
লাগাতার বর্ষণে বন্যার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অসমের ৫ জেলায়। শনিবার সন্ধে পর্যন্ত যে হিসেব তাতে ২৫ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। ৬ জেলার ৯৪টি গ্রাম বন্যার ভ্রুকূটির সামনে বলে জানা গিয়েছে। রবিবার দুপুর পর্যন্ত যে খবর তাতে মৃতের সংখ্যা ৩ ছাড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ জেলাগুলির মধ্যে রয়েছে কাছার, ডিমাজি, হোজাই। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থ জেলা কার্বি আলং পশ্চিম, নওগাঁও, কামরূপ (মেট্রো)। উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে অসমের রাজ্য ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি। যে ৩ জনের মৃত্যুর খবর রয়েছে তারা ডিমা হাসাও-র হাফলং-এ। অসমের সঙ্গে মেঘালয় এবং অরুণাচলেও লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। সেখানেও নদীগুলির জল বেড়েছে নিচু এলাকা প্লাবিত। তবে, সবচেয়ে খারাপ অবস্থা অসমের, ভেসে গিয়েছে রেললাইন। জায়গায় জায়গায় রাস্তা ভেঙে জলের স্ত্রোত বইছে। বহু জায়গায় ধস নেমেছে, বিপদগ্রস্থ এলাকা থেকে লোকজনকে সরানো হচ্ছে।
অসম ছাড়াও গত দুইদিন ধরে অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছে মেঘালয়, অরুণাচলপ্রদেশে। যার জেরে নদীর জল ফুলে ফেঁপে উঠেছে। একাধিক নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। অসমের বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষের মতে ১৪ মে পর্যন্ত ৬ জেলার ৯৪ গ্রামের ২৮ হাজার ৬৮১ জন বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। বন্যায় ১ হাজার ৭৩২ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ ২৫ হাজার লোকের মধ্যে ২৪ হাজারই কাছাড় জেলার। এই জেলার নিরাপত্তা বাহিনীর লোকজন কাজ করছে।ইতিমধ্য়েই উদ্ধারকার্য শুরু করেছে এনডিআরএফ বাহিনী। শনিবার সেখান থেকে জলবন্দি ২ হাজার ১৫০ জনকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আইএমডি পক্ষ থেকে ভারী বর্ষণ নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। আগামী কয়েকদিন অসমে ভারী বৃষ্টি চলবে। তবে শুধু অসমেই নয়, মেঘালয়-অরুণাচলপ্রদেশেও ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে। উল্লেখ্য বিগত কয়েকদিন ধরে টানা বৃষ্টিতে অসম এবং প্রতিবেশী রাজ্য মেঘালয়, অরুণাচলপ্রদেশের লাগাতার বৃষ্টির জেরে কোপিলি সহ একাধিক নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়েছে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-র তরফে টুইট করা ছবিতে দেখা গিয়েছে, দিমা হাসাও জেলার একটি রাস্তার বেশ কিছুটা অংশ জলের তোড়ে ভেসে যাচ্ছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই জেলার ১২টি গ্রাম জলের তোড়ে ধসে গিয়েছে। ৮০টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। অসমের ভয়াবহ বন্যায় ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে একজন মহিলাও রয়েছেন বলে খবর। ডিমাওহাছাও জেলায় ভূমি ধ্বসে ওই মহিলার মৃত্যু হয়।