Srilanka Crisis: 'রাজাপক্ষের লুঠ করা অর্থ ফেরত চাই আমরা', দাবি বিক্ষোভকারীদের, শ্রীলঙ্কার স্পেশাল রিপোর্ট

গণবিক্ষোভ বিধ্বস্ত শ্রীলঙ্কা, গ্রাউন্ড জিরো থেকে সরাসরি। কলম্বোর বুকে টিম এশিয়ানেট নিউজ-এর প্রতিনিধিরা। সরাসরি রিপোর্ট করছেন মণু শঙ্কর এবং চিত্র সাংবাদিক অক্ষয়। জটিল থেকে জটিল হচ্ছে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি, গণবিক্ষোভে উত্তাল দেশ। নতুন করে বুধবার সকালে শ্রীলঙ্কায় জারি জরুরি অবস্থা। কলম্বোর কেন্দ্রস্থলে থাকা কালচার সেন্টারে অবস্থান বিক্ষোভ। যেভাবে প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে অর্থ তচ্ছরূপ করেছে তার বিচার হওয়া উচিত। শ্রীলঙ্কার মানুষ তাদের অর্থ ফেরত চায়, এমনই দাবি এক বিক্ষোভকারীর।  
 

Share this Video

জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি। গণবিদ্রোহের রোষ এতটাই ভয়ানক হয়ে উঠেছে যে কোনও পরিস্থিতিতে তা আরও বেশি হিংসাত্মক হয়ে ওঠার আশঙ্কা করা হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষে যে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন সেই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়েছিল। যার জেরে বুধবার সকাল থেকেই কলম্বো-তে প্রাইমমিনিস্টারের বাসভবনে ঢোকার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। হাজার হাজার মানুষ প্রাইমমিনিস্টারের আবাসের প্রাচীরের উপরেও উঠে পড়েন। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ানক হয়ে যায় যে বিক্ষোভকে নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনীকে টিয়ারগ্যাল চালাতে হয়। এমন এক পরিস্থিতির মধ্যেই খবর আসে যে শ্রীলঙ্কার প্রাইম মিনিস্টারের দফতর থেকেও জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। এর আগে শ্রীলঙ্কায় অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থা লাগু হয়েছিল। এবার সামগ্রিক পরিস্থিতির উপরেই জরুরি অবস্থা লাগু করা হয়েছে।

প্রাইম মিনিস্টার রনিল বিক্রমাসিংঘে বুধবার সকালে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার সঙ্গে পশ্চিমাংশে কারফিউ জারির নির্দেশ দেন। কারণ, রাজাপক্ষের দেশ ছেড়ে পালানোর খবর চাউর হতেই বিক্ষোভকারীরা তাদের বিক্ষোভের মাত্রা বাড়াতে থাকে। কলম্বোর রাস্তায় রাস্তায় দলে দলে বিক্ষোভকারীরা জড়ো হয়। এমনকী প্রাইম মিনিস্টারের সরকারি আবাসের প্রাচীর টপকেও ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। দিন কয়েক আগেই এই একই কায়দায় বিক্ষোভকারীরা প্রেসিডেন্সিয়াল প্য়ালেসে ঢুকে পুরো প্রাসাদ তছনছ করে দিয়েছিল। 

Related Video