Murshidabad incident: পুলিশের তাড়ায় মারণ ঝাঁপের অভিযোগ, মৃত্যু হল ১ যুবকের
পুলিশের তাড়ায় মারণ ঝাঁপ যুবকের। এমনটাই অভিযোগ যুবকের পরিবারের। মুর্শিদাবাদের লালগোলার চমকপুর এলাকার ঘটনা। সূত্রের খবর, এদিন জুয়ার আসরে পুলিশ হানা দেয়। পুলিশের তাড়া খেয়ে পালাতে গিয়েই ঘটে এই ঘটনা।
পুলিশের তাড়া খেয়ে গভীর পুকুরে মরণঝাঁপ দিয়ে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় দেহ আটকে চলল বিক্ষোভ। প্রতিবাদে শুক্রবার তুলকালাম হয়ে উঠল মুর্শিদাবাদের বাংলাদেশ ঘেঁষা সীমান্ত শহর লালগোলার চমকপুর এলাকা। মৃত যুবকের নাম শহিদুল হক। প্রথমে ঐ যুবকের দেহ পুকুরে জাল ফেলে খুঁজতে তৎপর হয়ে ওঠে গোটা গ্রামের সাধারণমানুষ। পরবর্তীতে চাপে পড়ে ঘটনাস্থলে পৌছঁয় বিশাল পুলিশবাহিনী। পুলিশ পৌঁছে ডুবুরি নামিয়ে দেহ খোঁজাখুঁজি শুরু করে। এরপরে ঐ যুবকের মৃত দেহ উদ্ধার হতেই স্থানীয় গ্রামবাসীরা দেহ আটকে রেখে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করে। তাদের দাবি, ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক। দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে এই বিক্ষোভ। বিক্ষোভের আঁচ পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে পার্শ্ববর্তী থানা এলাকা থেকেও অন্যান্য পুলিশ আধিকারিক সহ লালগোলা থানার ওসি সন্দীপ সেন ঘটনাস্থলে পৌঁছান। অভিযোগ, স্থানীয় গ্রামের একটি ফাঁকা মাঠের মধ্যে গোপনে জুয়া খেলার আসর বসেছিল। সেখানে আচমকা অভিযান চালাতে হাজির হয় লালগোলা থানার বিশাল পুলিশবাহিনী। শুরু হয় ধরপাকড়। লাঠির ঘায়ে হুরমুড়িয়ে ছুটোছুটি শুরু করে দেয় সকলে। কয়েকজনকে পুলিশ ধরেও ফেলে। এরই মধ্যে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জুয়ার আসরের পাশে উপস্থিত থাকা ঐ যুবক পেশায় দিনমজুর তথা তিন সন্তানের জনক শহীদুল হক পুরো ঘটনায় আতঙ্কগ্রস্থ হয়ে ছুট লাগায়। এরপরই পুলিশ তাকে তাড়া করতে গেলে প্রাণে বাঁচতে তার বাড়ি থেকে কয়েকশো মিটার দূরের একটি গভীর পুকুরে ঝাঁপ দেয় সে। এরপরে অনেক খোঁজাখুঁজির পর উদ্ধার হয় দেহ।