ইহলোকের নেতাদের ভরসা নেই, স্বর্গলোকের নারদকে চাকরির আবেদন নদিয়ার বেকারদের

কর্মসংস্থানের আশায় মহর্ষি নারদের পুজো তেহট্টে। এলাকার যুবক যুবতীরা কেউ বিএ আবার কেউ এম এ পাশ করে বেকার হয়ে ঘরে বসে দিন গুনছে। এমনকী কেউ কেউ বি এড করেও বসে আছে। অথচ চাকরি জুটছে না। কবে একটা চাকরির পরীক্ষায় ডাক আসবে। সেই আশায় দিন গুনছেন তারা। 
 

Share this Video

কর্মসংস্থানের আশায় মহর্ষি নারদের পুজো তেহট্টে। এলাকার যুবক যুবতীরা কেউ বিএ আবার কেউ এম এ পাশ করে বেকার হয়ে ঘরে বসে দিন গুনছে। এমনকী কেউ কেউ বি এড করেও বসে আছে। অথচ চাকরি জুটছে না। কবে একটা চাকরির পরীক্ষায় ডাক আসবে। সেই আশায় দিন গুনছেন তারা। 

কিন্তু আশায় বুক বাঁধাই সার। সরকারি না বেসরকারি কোনওটাতেই ডাক পাচ্ছে না তারা। সেই আশা পূর্ণ করতে এবার স্বর্গলোকের এক দেবতার স্মরণ করলেন চাকরিপ্রার্থীরা। নদিয়ার তেহট্ট থানার বেতাই সাধু বাজার এলাকার সমস্ত যুবক যুবতীরা এককাট্টা হয়ে মহর্ষি নারদের পুজো দিলেন ধুমধাম করে। যদি একটিবার মহর্ষি নারদ স্বর্গে তাদের আবেদন পাঠিয়ে দেন। এদিন তাই পুজোতে কোনও কিছু খামতি রাখেনি ওইসব বেকার যুবক যুবতীরা। পুজো পাঠের পাশাপাশি হোমযজ্ঞ এবং প্রার্থনা সবই মজুদ রেখেছিল সাধু বাজার এলাকার বেকার যুবক যুবতীরা। বুধবার এমনই অভিনব পুজো দেখল তেহট্ট থানার সাধুবাজার এলাকায় বাসিন্দারা। 

এই চাপাগাড়া ফুটবল মাঠেই ধুমধাম করে মহর্ষি নারদের পুজো অনুষ্ঠিত হল। সাধুবাজার এলাকার বাসিন্দা বেকার যুবক সুজিত বাগ জানান, মহর্ষি নারদের পুজো দেওয়ার অর্থ উনিই স্বর্গ মর্তের প্রথম সাংবাদিক। তাই নারদের মাধ্যমে আমাদের মতো বেকারদের দুঃখ কষ্টের কথা মর্ত থেকে স্বর্গে পাঠাতে চাই। তিনি বলেন, আমার মতো এলাকায় প্রচুর ছেলে মেয়ে পড়াশোনা শেষ করেছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সরকারি চাকরির মুখ দেখল না। 

আজ পর্যন্ত একজনেরও কর্মসংস্থান হল না। তাই একমাত্র মহর্ষি নারদ পারেন আমাদের বেকারত্ব দূর করতে। এই পুজোর পুরোহিত অমূল্য চক্রবর্তী বলেন, এলাকার প্রচুর ছেলে মেয়ে বি এ, এমএ ও বিএড করে বসে আছে। তারা আজ পর্যন্ত কোনও সরকারি চাকরির ডাক পায়নি। তাই তারা সিদ্ধান্ত নেয় মহর্ষি নারদ পুজোর। কেন না একমাত্র নারদ পারে তাদের আবেদন মর্ত থেকে স্বর্গে পৌঁছে দিতে।

Related Video