Firdous Samim statement: সুপ্রিম কোর্টের ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল বা ২৬ হাজার চাকরি বাতিল রায়ের পরেও চাকরি বাঁচানো যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমনই দাবি করেছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার একপক্ষের আইনজীবী ফিরদৌস সামিম।
Firdous Samim statement: সুপ্রিম কোর্টের ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল বা ২৬ হাজার চাকরি বাতিল রায়ের পরেও চাকরি বাঁচানো যায়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তেমনই দাবি করেছে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার একপক্ষের আইনজীবী ফিরদৌস সামিম। তিনি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা রয়েছে। তিনি বলেছেন, আসল ওএমআর শিট বা এসএসসির কাছে থাকা ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ ব্যবহার করে এখনও যোগ্য প্রার্থীদের চাকরি বাঁচানো নয়। এসএসসির কাছে মিরর ইমেজ রয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি। তার প্রমাণও রয়েছে তাদের হাতে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে বারবার এসএসসি জানিয়েছে তাদের কাছে কোনও মিরর ইমেজ নেই। ২০২৩-২৪ সালে এসএসসি আরটিআই-এর জবাব দিয়েছিল।

আইনজীবী ফিরদৌস সামিম জনিয়েছেন, অযোগ্য প্রার্থীদের টাকা ফেরত দিতে হবে। স্পষ্ট করে সামিম জানিয়েছেন, যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছে তাদের প্রত্যেককে সুদ সমেত বেতন ফিরত দিতে হবে। এদিন আইনজীবী বলেন, এবার প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থীর দাবি তোলা উচিৎ কোনও নিয়োগ পরীক্ষা করে তার ওএমআর শিট কমপক্ষে ২০ বছর সংরক্ষণ করতে হবে। নিয়োগ পরীক্ষায় ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। তিনি জানিয়েছেন, এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে আইন রয়েছে। কিন্তু তা মানা হয় না বলেও দাবি করেছেন। তিনি নাগরিকদের দায়িত্বশীল হওয়ার ওপর জোর দিয়েছেন। বলেছেন, 'আপনি সৎ এটা যথেষ্ট নয়, আপনার সরকার যাতে সৎ হয় তার ব্যবস্থা করতে হবে। অসৎ সরকারকে নির্বাচন করবেন না। অসৎ সরকারকে নির্বাচন করলে আপনাকে সমস্যায় পড়তে হবে।' তিনি আরও বলেছেন, গোটা ঘটনার দায় একমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। এমনভাবে সিস্টেম তৈরি করেছেন যাতে বাজার থেকে টাকা তোলা যায়।
সামিম সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করেন। যেখানে তিনি এসএসসি-র রায় নিয়ে নিজের বক্তব্য রাখেন। যদিও এই সেই ভিডিও-র সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংল। যাইহোক ফৌরদৌস সামিম বলেন, এই পরিণতি স্বাভাবিক পরিণতি ছিল। এটা হওয়ার ছিল বলেও দাবি করেন। তিনি আরও জানিয়েছেন, অনেকেই ফোন করে, টেক্সট করে তাঁকে গালিগালজ করেছে। তবে তিনি থামবেন না বলেও জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এই সরকার থাকলে শিক্ষাব্যবস্থা এমনটাই থাকবে। তিনি আরও দাবি করেছেন, রায় ঘোষণার পরই টাকা তোলার ব্যবস্থা করেছে তৃণমূলের লোকজন। আবার পরীক্ষা হলে আবারও দুনম্বরি করার চেষ্টা করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। বেআইনি নিয়োগ হলে আবারও চাকরি বাতিল বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেছেন, যাঁরা টাকা দিয়েছেন, তাঁরা টাকা আদায় করুন। আর টাকা দিয়ে চাকরি পাওয়ার চেষ্টা করবেন না। তাহলে আবারও চাকরি যাবে।
