অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এও আবার হয় নাকি?

বেসরকারি একাধিক হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে গিয়ে এমনিতেই নাভিশ্বাস ওঠে সাধারণ মানুষের। অনেক সময়ই অভিযোগ ওঠে যে, অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হচ্ছে। এবার তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছে মধ্যপ্রদেশে। রতলামের জিডি হাসপাতালে একজন রোগীর অভিযোগের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। সেই ভাইরাল ভিডিওটিতে দেখা যাচ্ছে যে, একজন ব্যক্তি নাকে রাইস টিউব, সারা দেহে ইইজি, ইসিজি এবং হল্টার মনিটরিংয়ের পয়েন্টিং করা অবস্থায় হাসপাতালের বাইরে বেরিয়ে এসেছেন। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা।

আর তারপরই বিস্ফোরক দাবি করে বসলেন সেই যুবক। ওই ব্যক্তির কথায়, তাঁকে জোর করে আইসিইউ-তে আটকে রাখছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই ব্যক্তির স্ত্রী আবার দাবি করেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর স্বামীর অবস্থা সঙ্কটজনক, এমনটাই বলে চলেছে। এমনকি, সেই হাসপাতালের তরফ থেকে এও বলা হয়েছে, তাঁর স্বামী নাকি কোমায় আছেন।

শুধু তাই নয়, আইসিইউ-তে রাখার জন্য অগ্রিম টাকাও চাওয়া হয়েছে সেই পরিবারের থেকে। এরপর ১ লক্ষ টাকার ব্যবস্থা করে তিনি যখন হাসপাতালে ফিরে আসেন, তখন দেখতে পান যে, ডাক্তাররা ঐ মহিলার স্বামীকে আইসিইউ-তে আটকে রেখেছে। এমনটাই দাবি করেছেন তারা।

সেই যুবকের স্ত্রী কার্যত বিস্ফোরক দাবি করেছেন, “আমি যখন ফিরে আসি, তখন দেখি ডাক্তাররা আমার স্বামীর ঘাড় চেপে ধরছেন এবং তখন তাঁর হাত বাঁধা অবস্থায় ছিল। প্রথমে আমি ধরে নিয়েছিলাম, হয়ত তারা জল ঢালছেন। কারণ, তিনি অজ্ঞান ছিলেন।

তবে আমার স্বামী আমাকে বলেন যে, অনেক আগেই তাঁর জ্ঞান ফিরে আসে এবং আমাকে দেখতে চেয়েছিলেন। কিন্তু হাসপাতালের কর্মীরা তা রীতিমতো প্রত্যাখ্যান করে দেন। শুধু তাই নয়, তাঁর দাবি তার সঙ্গে দুর্ব্যবহারও করা হয়েছে।

Scroll to load tweet…

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।