একটা সময় জীবনের মায়া ছেড়ে ছুটন্ত ট্রেনের সামনে রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রাণে বেঁচে যান ট্রেন চালকের সতর্কতায়। কিন্তু বেঁচে যেতেই ট্রেন চালককের প্রেমে পড়ে যান যুবতী। আর ট্রেনচালকের সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধও হন যুবতী।
একেই বলে কপাল। বাস্তবে এক যুবতীর জীবনে যে পরিবর্তন এল তা কোন রোমাঞ্চকর গল্পকেও হার মানাবে। নেটদুনিয়ায় যেঘটনা ভাইরাল হতেই মজেছেন নেটিজেনরা। এক যুবতী যে ট্রেনের সামনে জীবন শেষ করতে গিয়েছিলেন সেই ট্রেনের চালককেই বিয়ে করে ঘরে ফিরলেন। সেই ঘটনাও এতটাই জমজমাট যে পুরো ঘটনা জানার জন্য নেটদুনিয়ায় চোখ রেখেছেন অনেকেই। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ঘটল এই ঘটনা।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা যায়, রেল লাইনে গলা দিতে গিয়ে মন দিয়ে ফেললেন ট্রেনের চালককে। প্রথম দেখায় ভালোবেসে করলেন বিয়েও। পেশায় নার্স এক মহিলার জীবনে এমনই ঘটনা ঘটেছে। সংবাদ সূত্রে খবর, শার্লট লে নামের বছর তেত্রিশের ওই যুবতী কোন কারণে ভুগছিলেন মানসিক অবসাদে। একটা সময় জীবনের মায়া ছেড়ে ছুটন্ত ট্রেনের সামনে রেললাইনে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু প্রাণে বেঁচে যান ট্রেন চালকের সতর্কতায়। কিন্তু বেঁচে যেতেই ট্রেন চালককে দেখে প্রেমে পড়ে যান যুবতী। আর ভালোবাসার টানে ট্রেনচালকের সঙ্গেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধও হন যুবতী।
ঘটনাটি ঘটেছে ইংল্যান্ডে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে যে খবরে হইচই পড়ে যায়। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ইংল্যান্ডের ইয়র্কশায়ারের ব্র্যাডফোর্ড রেল স্টেশনের কাছে শার্লট লে নামে ওই যুবতী আচমকাই রেল লাইনে উঠে পড়েন নিজেকে শেষ করে দেবেন বলে। কিন্তু ট্রেনচালক ডেভ লে তৎপরতা দেখিয়ে সময়মতো ব্রেক কষতেই ট্রেন জায়গা মত দাঁড়িয়ে পড়ে। প্রাণ ফিরে পায় যুবতী। এরপর চালক ডেভ লে ট্রেন থেকে নেমে সরাসরি গিয়ে শার্লটের সঙ্গে কথা বলেন। কথা বলে বলে বোঝানোর পরে যুবতী শার্লট ট্রেনে উঠতে রাজি হন। ট্রেনের চালক পরের স্টেশনে তাঁকে নামিয়ে দেন। শুধু তাই নয়, প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করে তার মানসিক চিকিৎসারও ব্যবস্থা করেন। এরপরই ঘটনার নতুন মোড় নেয়। চালককে ধন্যবাদ জানাতে ফেসবুকের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন শার্লট। সোসেয়াল মিডিয়ার সৌজন্যে তৈরি হয় পরস্পরের মধ্যে সম্পর্ক। সেই সম্পর্কের পরিণতি পায় বিয়েতে। দুজনেই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
