সংক্ষিপ্ত
- ভোটের আগে অধীরকে 'জোট ধর্ম' নিয়ে নিশানা
- কংগ্রেস প্রার্থী ফিরোজা বেগমকে ভোট দেবেন না'
- 'ওনাকে ভোট দিলে ঘুরিয়ে বিজেপিকে সাহায্য করা'
- অধীরের গড়ে হুংকার দিলেন আব্বাস সিদ্দিকী
অধীরের গড়ে হুংকার পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকীর। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে বিজেপির গোপন আঁতাতের অভিযোগ ভোটের মুখে। তাঁদের উভয়ের অম্লমধুর সম্পর্ক অতীতে ব্রিগেডের সভা মঞ্চ থেকেই আঁচ করেছে গোটা বঙ্গবাসী। একজন পোড়-খাওয়া রাজনীতিবিদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, তো অপরজন পশ্চিমবঙ্গে নতুন রাজনীতির সমীকরণের মুখ হয়ে উঠে আসা উঠতি বিতর্কিত নেতা পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন, পিকের লাস্ট মিনিট 'ইলেকশন সাজেশন', 'খেলা হবে' মুর্শিদাবাদে, হাজির খোদ মমতা
এবার খোদ অধীর চৌধুরীর খাসতালুক মুর্শিদাবাদের ইসলামপুরে এসে এসে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট প্রধান আব্বাস সিদ্দিকী দলীয় প্রার্থীর সমর্থনে সরাসরি একাধিক ভাবে বিঁধলেন প্রদেশ অধীর চৌধুরী কেই। ভোটের মুখে এমন কান্ডে শুক্রবার শোরগোল পড়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে। আব্বাস শুরুতেই অধীর কে টার্গেট করে 'জোট ধর্ম' নিয়ে নিশানা করে বিজেপির সঙ্গে অধীর চৌধুরীর গোপন আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে সরব হন। তিনি(আব্বাস সিদ্দিকী) বলেন,' অধীর চৌধুরী তথা কংগ্রেসকে মুর্শিদাবাদে ভোট দেওয়া মানে ঘুরিয়ে বিজেপিকে সাহায্য করা।'
পাশাপাশি কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এলাকায় আই এস এফ এর প্রার্থী দাঁড় করানো প্রসঙ্গে পাল্টা যুক্তি সাজিয়ে আব্বাস বোঝানোর চেষ্টা করেন মূলত কি কারনে তাঁরা মালদহ ও মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বহু জায়গায় প্রার্থী দিয়েছেন। ইসলামপুরে এসে আইএসএফ প্রধান পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি অবশ্য তৃণমূল ও বিজেপিকে একই বন্ধনীতে ফেলে সমালোচনাও করেন। সরাসরি জানিয়ে দেন,'মুর্শিদাবাদে কংগ্রেসের সঙ্গে আইএসএফের জোট হয়নি। আমার তো মনে হয়, বিজেপির সঙ্গে অধীর চৌধুরীর বোঝাপড়া হয়ে গিয়েছে। তাই রানিনগর বিধানসভায় বাম-গণতান্ত্রিক-ধর্ম নিরপেক্ষ শক্তির জোটসঙ্গী আইএসএফ মনোনীত 'খাম' প্রতীকের প্রার্থী মাসুম রেজাকে আপনারা ভোট দিন আপনারা কেউ কংগ্রেস প্রার্থী ফিরোজা বেগমকে ভোট দেবেন না।'
আরও পড়ুন, ' বাংলায় ১০ গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে আগে উন্নয়ন', ভার্চুয়াল সভায় প্রতিশ্রুতি মোদীর
আব্বাস সিদ্দিকির অভিযোগ, “তৃণমূল দলটাই গঠিত হয়েছিল বিজেপির ইশারায়।” আবার বিজেপির সমালোচনা করে বলেন, “সাত বছর আগে বলেছিল সবকা সাথ সবকা বিকাশ। একটাও বিকাশ হয়নি। উলটে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বাড়ছে। এই বিজেপি ক্ষমতায় এলে দেশের ক্ষতি হবে,তাই ওদের ভোট দেবেন না।” আব্বাস হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, “আমরা মুর্শিদাবাদে আমাদের অধিকার ছিনিয়ে নেব"। জোট প্রসঙ্গে বলেন," এই মুর্শিদাবাদে তিনটি আসন চেয়েছিলাম। কিন্তু অধীর চৌধুরী তা মানেননি। সবাই চাইল জোট হবে। কিন্তু অধীর চৌধুরি মানলেন না। তাই আমরা প্রার্থী দিয়েছি।”
কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেন তিনি। আব্বাস সিদ্দিকি বলেন, 'অধীর চৌধুরীর নেতৃত্বে কংগ্রেস এতদিন মুর্শিদাবাদে রাজত্ব করল, কিন্তু জেলায় একটাও বিশ্ববিদ্যালয় করেনি। তাই ওদের আর সুযোগ দেওয়ার দরকার নেই। রানিনগর থেকে এবার খাম চিহ্নে ভোট দিয়ে মাসুম রেজাকে জেতান।' এই যাবতীয় ঘটনায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর রাজনৈতিক সচিব তথা জেলা কংগ্রেস মুখপাত্র জয়ন্ত দাস বলেন," সংযুক্ত মোর্চার কথা অনুযায়ী আসন সমঝোতা হয়েছে।সেখানে আব্বাস বলে আলাদা করে কোন ব্যক্তি বিশেষ কে গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই"।