সংক্ষিপ্ত
- ভোট বঙ্গ বড়া সভা বাতিল করেছে সিপিএম
- এবার সেই পথে হাঁটলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী
- বাংলায় যাবতীয় নির্বাচনী কর্মসূচি বাতিল করলেন তিনি
- যদিও তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি পদ্ম শিবির
দেশ জুড়ে আছড়ে পড়েছে করোনা ভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ। দিন প্রতি সমক্রমণের সংখ্যা প্রায় ২ লক্ষ ৭০ হাজার। মৃতের সংখ্যাও দে হাজার ছাড়িয়েছে। ভোট বঙ্গেও বেলাগাম হয়ে গিয়েছে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ। দৈনিক সংক্রমণ প্রায় ৮ হাজার। শনিবার মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। চিকিৎসকরে মনে করছেন নির্বাচনের রোড শো, সভাগুলি করোনার সুপার স্প্রেডার হয়ে উঠেছে। এই পরিস্থিততে বামেরা ইতিমধ্যেই রাজ্যে বড় জমায়েত বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এবার সেই পথেই হাঁটলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। যা নিয়ে তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অখিলেশ মিশ্রা।
একুশে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বাংলায় সেভাবে দেখাই যায়নি প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীকে। বরং কেরালার ভোটপ্রচারে 'অতি সক্রিয়' ভূমিকায় দেখা গিয়েছে তাঁকে। পঞ্চম দফার ভোটের আগে একটি মাত্র সভা করেছেন রাহুল গান্ধী। এবার করোনা সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে বাংলায় তার নির্বাচনী যাবতীয় কর্মসূচি বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিলেন রাহুল। রবিবার টুইটারে সোনিয়া-পুত্র লিখেছেন, 'করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে, পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত সভা স্থগিত রাখছি।সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের বলব, এই পরিস্থিতি বিবেচনা করে রাজনৈতিক সভা করা নিয়ে আপনারা ভেবে দেখুন।'
রাহুল গান্ধীর এমন সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করতে ও আক্রমণ করতে বেশি সময় নেয়নি পদ্ম শিবির। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অখিলেশ মিশ্রা। ট্য়ুইটারে কেন্ত্রী মন্ত্রী লেখেন,'যে ব্যক্তি প্রথম চার দফা পর্যন্ত একটিও সমাবেশ করেনি এবং তারপরে একটি করেছে। যার মধ্যে কেউই আপত্তি করে নিল তিনি এখন এই বিরাট ত্যাগটি করছেন। কিন্তু এখন মিডিয়ায় প্রোপাগান্ডা করা হবে,দেখুন রাহুল কতটা দায়িত্ববান। বিজেপির উচিত তাঁর কাছ থেকে শিক্ষা নেওয়া।'
কেরালায় রাহুল গান্ধীর একটি ব়্যালির ভিডিও পোস্ট করেছেন অখিলেশ তিওয়ারি। সেখানে অসংখ্য মানুষের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস নেতা। তখন করোনা ছড়ায়নি কি? সেই প্রশ্নও তুলেছেন বিজেপি নেতা।
অখিল মিশ্রার ট্য়ুইট থেকেই প্রামণিত শুধু কটাক্ষ নয়, রাহুল গান্ধিকে ব্যাঙ্গাত্মকভাবেই জবাব দিয়েছেন অখিল মিশ্রা। কিন্তু করোনা সংক্রমণ যেভাবে ভয়ঙ্কর থেকে ভয়ঙ্করতম হয়ে উঠছে তাতে সব রাজনৈতিক দলেরই ভাবার ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এসেছে বলে মত চিকিৎসক ও বিশেষজ্ঞদের।