সংক্ষিপ্ত
প্রলয় পাল-কে নন্দীগ্রামের বাইরে কেউ চিনত না
মমতার ফোনকল ফাঁস করে এখন তিনি গোটা রাজ্যেই পরিচিত
এদিন তাঁর সঙ্গে দেখা করলেন অমিত শাহ-ও
কী কথা হল দুজনের
দিন কয়েক আগেও নন্দীগ্রামের বাইরে তাঁকে কেউ চিনত না। কিন্তু, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি ফোনকল রেকর্ড করে প্রকাশকরে দেওয়ার পর, এখন মোটামুটি গোটা পশ্চিমবঙ্গেই পরিচিত নাম হয়ে উঠেছেন বিজেপি নেতা প্রলয় পাল। আর এবার নন্দীগ্রামে প্রচারে এসে আলাদা করে তাঁকে ডেকে কথা বললেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
মঙ্গলবার, নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর সমর্থনে একটি বিশাল রোড শো করেন অমিত শাহ। কিন্তু, সেই রোড শো-তে অংশ নিতে পারেননি পূর্ব মেদিনীপুরের বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি। এশিয়ানেট নিউজকে প্রলয় জানিয়েছেন, এদিন তাঁর বেশ কিছু কাজ ছিল। নির্বাচনের কিছু কাগজপত্র তৈরি করার ছিল।
রোড শো-এর পর নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কার্যালয়ে এসেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সেখানে এসেই অমিত শাহ খোঁজ করেন প্রল পালের। লোক মারফৎ সেই খবর পেয়ে শুভেন্দুর কার্যালয়ে চলে আসেন বিজেপি নেতা প্রলয়। ৫-১০ মিনিটের বেশি কথা বলার সুযোগ হয়নি দুজনের। কিন্তু কী কথা হল?
প্রলয় পাল জানিয়েছেন, তিনি অমিত শাহ-কে প্রণাম করেছেন। অমিত তাঁকে আশীর্বাদ করেছেন, ভবিষ্যতে লড়াইয়ের জন্য সাহস দিয়েছেন। যেভাবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো নেত্রীর মুখের উপর তিনি বলেছেন, দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না, তার প্রশংসা করেছেন বিজেপির প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি। দলের হয়ে এভাবেই সাহসের সঙ্গে লড়াই করে যেতে হবে, নন্দীগ্রামের নতুন নেতাকে এই বার্তাই দিয়েছেন তিনি।
দিন দুয়েক আগে রাজ্যের বিজেপি নেতারা একটি অডিও ক্লিপ সামনে এনেছিলেন। সেটি ছিল বিজেপি নেতা প্রলয় পাল এবং তৃণমূল সুপ্রিমোর টেলিফোনের কথোপকথন। মমতা নিজেই ফোন করেছিলেন প্রলয়কে। তৃণমূলের হয়ে কাজ করার জন্য অনুরোধ করেছিলেন তিনি। প্রসঙ্গ, ২০১৪ সালে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন প্রলয়। তার আগে তিনি তৃণমূল কংগ্রেসই করতেন। এই ফোনকলে হারের ফলে মমতা যে আতঙ্কিত তারই প্রতিচ্ছবি দেখা গিয়েছে, এমনই দাবি করেছে বিজেপি।