সংক্ষিপ্ত
শনিবারই, রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন
বাড়ছে করোনা সংক্রমণও
বড় জনসভা ছেড়ে টাউনহল সভার দিকে ঝুঁকছে বিজেপি
শুক্রবারই কলকাতার এরকম ৩টি সভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
শনিবারই, রাজ্যে পঞ্চম দফার নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার কলকাতার বুকে প্রচারের ঝড় তুলতে চলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে করোনার আবহে কোনও বড় জনসভা নয়, অডিটোরিয়য়ামে ছোট মাপের সভা করবেন তিনি। যাকে বিজেপি বলছে 'টাউনহল মিটিং'। এদিন কলকাতার বুকে এরকম তিনটি সভায় বক্তব্য রাখবেন তিনি। সামরিক ক্ষেত্রে 'কার্পেট বম্বিং' বলে একটি কথা আছে। এর অর্থ একের পর এক বোমা বর্ষণ। রাজ্য বিজেপির নেতারা বলছেন, কলকাতার বুকে সেভাবেই ছোট সভার ঝড় তুলবেন অমিত শাহ।
প্রথম সভাটি হবে রাসবিহারী বিধানসভার অন্তর্গত প্রিয়া সিনেমা হলে। সেখানে ৭.২৫-এ বক্তব্য রাখার কথা অমিত শাহ-র। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পরের দুটি সভা হবে বালিগঞ্জ বিধানসভার অন্তর্গত তেরাপনাথ ভবনে এবং চৌরঙ্গী বিধানসভার অন্তর্গত সুবর্ণ বণিক সমাজ হলে। সভাদুটির সময় ষথাক্রমে রাত ৮টা ২০ এবং ৯টা ২০।
"
গত রবিবার থেকেই টাউনহল মিটিং কর্মসূচি শুরু করেছে বিজেপি। ওইদিন রাজারহাট-গোপালপুরের সভা থেকে অমিত শাহ জানিয়েছিলেন বাকি ১৫৯ বিধানসভা নির্বাচনে বড় জনসভা করবে না বিজেপি। তার বদলে ৬,৩০০ টির মতো টাউনহল মিটিং করবে গেরুয়া শিবির। প্রাথমিকভাবে এই ছোট মাপের সভা করার উদ্দেশ্য ছিল আরও ঘনিষ্ঠভাবে ভোটারদের সঙ্গে সংযোগ করা। আরও কাছ থেকে জনগণের কাছে পৌঁছনো। দ্বিতীয় তরঙ্গে কোভিড পরিস্থিতি মারাত্মক অবস্থায় পৌঁছে যাওয়ার পর আরও বেশি করে জোর দেওয়া হচ্ছে ছোট জমায়েতের উপরেই।
আরও পড়ুন - একদফায় ভোটে নারাজ কমিশন - প্রচারে কাটছাঁট মানবেন না, সাফ জানালেন মমতা
আরও পড়ুন - বিধাননগর যেন 'মিনি নন্দীগ্রাম' - সমানে সমানে টক্কর সুজিত-সব্যসাচীর , আছেন ভাইপো নইও
আরও পড়ুন - 'এবার, ২০০ আসন পার' - একান্ত সাক্ষাতকারে কী জানালেন স্বপন দাশগুপ্ত
তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অবশ্য বিজেপির এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করা হয়েছে। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, শেষ চার দফা নির্বাচন যেখানে যেখানে হবে সেইসব কেন্দ্রে বিজেপির সংগঠন খুবই দুর্বল। বড় সভা করলে লোক হবে না, তা বুঝে গিয়েছে গেরুয়া শিবির। আর সেই দুর্বলতা ঢাকতেই ছোট সভার শরণাপন্ন হয়েছে বিজেপি। এক বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাতকারে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাফ জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতিতেও তিনি সভা-সমিতি বাতিল করার কথা ভাবছেন না।