সংক্ষিপ্ত
- মিছিলে হামলার অভিযোগ
- বীরভূম পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ
- দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ
- অভিযোগ করেন বিজেপির ভারতী ঘোষ
দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি নেত্রী তথা রাজ্যের প্রাক্তন পুলিশ অফিসার ভারতী ঘোষ। তাঁর দাবি তাঁর রোড শো’র উপর যে হামলা হয়েছিল তার আক্রমণকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। একই সঙ্গে দায়িত্ব পালন না করার অভিযোগে দুই পুলিশ অফিসারকে শাস্তিরও দাবি তুলেছেন তিনি। এই আর্জি জানিয়ে পুলিশে সুপারের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির রাজ্য সহ সভানেত্রী ভারতী ঘোষ। সেই সঙ্গে মাড়্গ্রাম এলাকায় এখনই কেন্দ্রীয় বাহিনী নামিয়ে মানুষের মন থেকে আতঙ্ক দূর করার দাবি জানিয়েছেন ভারতী ঘোষ।
স্বস্ত্রিক নিভৃতবাসে কেজরিওয়াল, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর ঘরে করোনার থাবা ...
প্রসঙ্গত, সোমবার বিকেলে মাড়্গ্রামে রোড শো ছিল বিজেপির। রোড শো’তে অংশগ্রহণ করেছিলেন ভারতী ঘোষ। ছিলেন বিজেপি প্রার্থী নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায়। মাড়্গ্রাম খানকা শরিফ থেকে রোড শো শুরু হয়। সূর্য ডোবার মুহূর্তে ভারতী ঘোষের ট্যাবলো মাড়্গ্রামের ধুলফেলা মোড়ে পৌঁছতেই তৃণমূল পার্টি অফিস থেকে কিছু মানুষ গো ব্যাক শ্লোগান দিতে থাকে বলে অভিযোগ। এরপরেই এক দল দুষ্কৃতী বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাঁশ, লাঠি, লোহার রোড দিয়ে আক্রমণ করে বলে দাবি ভারতী ঘোষের। তিনি বলেন, “সে সময় মাড়্গ্রাম থানার ওসি প্রদীপ ঘোষ এবং আব্দুল সামাদ নামে এক অফিসার তৃণমূলকে উত্তেজনা ছড়াতে মদত দিচ্ছিলেন। তিনি অভিযুক্তদের না সরিয়ে আমাদের এলাকা ছেড়ে পালানোর জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। তাদের মদতেই তৃণমূল বিজেপি কর্মী অনুগামীদের ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ভারতী ঘোষ বলেন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে তাঁদের রোড শো বন্ধ করে দিতে হয়। অবিলম্বে ওই দুই অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পরিকল্পিতভাবে এই আক্রমণ চালান হয়েছে। এই পরিকল্পনার কথা আগেই থেকেই জানতেন ওই দুই পুলিশ অফিসার”। তেমনই অভিযোগ করেন তিনি।
কেন আমরা এভাবে করোনাভাইরাসের টিকা অপচয় করছি, মহামারির নিয়ে রীতিমত উদ্বেগ প্রকাশ দিল্লি আদালতের ..
সাংবাদিক সম্মেলনে ভারতী ঘোষ বলেন, “বীরভূম জেলার নতুন পুলিশ সুপারের উপর আমাদের পূর্ণ আস্থা রয়েছে। আমরা ওই দুই পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে এবং যারা আক্রমণ করেছে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ সুপার সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে বলে আমার বিশ্বাস”। ভারতী ঘোষের অভিযোগ, “তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে এখনকার পুলিশ অবৈধভাবে টাকা রোজগার করেছে। এখন তৃণমূলের হয়ে কাজ করে তার ঋণ শোধ করছে”। নিখিল বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দিন কয়েক আগে আমাদের এক কর্মীকে মারধর করেছিল তৃণমূল। আমরা অভিযোগ দায়ের করেছিলাম। মাড়্গ্রাম থানার ওসি অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করে তাদের সঙ্গে চা খাচ্ছেন। অবিলম্বে ওই ওসিকে বরখাস্ত করতে হবে”।