সংক্ষিপ্ত
- বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হতেই ভোল বদল রায়গঞ্জে
- 'প্রার্থী নির্বাচনে বড়ো গেম' বলে বিতর্কে বিজেপির বিশ্বজিৎ
- টেলিফোনে তাঁর কথপোকথন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে
- পরে সত্যতা স্বীকার করে অন্য ব্যাখ্যা দিলেন বিশ্বজিৎ
উত্তর দিনাজপুর জেলায় আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে উপর মহলে বড়ো 'গেম' হয়েছে বলে স্বীকারোক্তি স্বয়ং বিজেপির জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর।এদিন জেলা সভাপতির সাথে জেলার করণদিঘির এক মন্ডল কার্যকর্তার টেলিফোনে কথপোকথন নেট দুনিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।পরবর্তীতে যোগাযোগ করা হলে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী ওই টেলিফোনে কথোপোকথনের সত্যতা স্বীকার করার পাশাপাশি তার অন্য ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন, 'জয়শ্রী রাম মা-মমতাজ বেগমকে একদম না',শুভেন্দুর প্রচার শুনে হেসেই কুটোপাটি নন্দীগ্রামবাসী
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের বিজেপির প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করার পর থেকেই উত্তর দিনাজপুর জেলার বিভিন্ন এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এর পাশাপাশি ইটাহার ও করনদিঘি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়নি। শোনা যাচ্ছে, ওই দুই আসনের জয়ী বিধায়ক অমল আচার্য্য ও মনোদেব সিংহকে বিজেপি থেকে টিকিট দেওয়া হবে। এই নিয়ে বিক্ষোভ উরত্তর বাড়ছে।বিজেপি কর্মিদের অভিযোগ, স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী টাকার বিনিময়ে টিকিট বিলি করেছেন।এদিন করনদিঘির এক কার্যকর্তার সাথে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীর ভাইরাল হওয়া টেলিফোনে কথপোকথন থেকেও প্রার্থী নির্বাচনের ব্যাপারে উপরমহলের ' গেম' চলার উল্লেখ পাওয়া গিয়েছে।
আরও পড়ুন, গড়বেতার সভায় এনপিআর নিয়ে সরব মমতা, সিএএ নিয়ে সম্পূর্ণ নিশ্চুপ মুখ্যমন্ত্রী
প্রায় ৪মিনিটের ওই ভাইরাল হওয়া অডিও থেকে জানা গিয়েছে, করনদিঘির ১৬ নম্বর মন্ডলের জনৈক তপেশ চন্দ্র সিনহা নামে এক কার্যকর্তা জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ীকে জিজ্ঞেস করছেন যে বাকি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হলেও ওই আসনে করা হয়নি কেন।এর জবাবে জেলা সভাপতি জানান, তিনি এর কারন জানেন না।তিনি তার কারন জানতে দেবশ্রী চৌধুরীকে ফোন করার পরামর্শ দেন। কথপোকথনে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী আরও জানান, রায়গঞ্জ আসনে প্রার্থী হিসেবে তার নিজের নাম ছিলো। কিন্তু কেউ তা সরিয়ে দিয়েছে।শেষ পর্যন্ত তার নাম কাটা গিয়েছে। এর পেছনে বড়ো ' গেম পয়েন্ট ' রয়েছে। ফোনের অপর প্রান্ত থেকে ওই কার্যকর্তা করনদিঘি আসনে বাইরে থেকে বা সদ্য তৃনমুল কংগ্রেস ত্যাগ করে আসা কাউকে প্রার্থী না করার জন্য হুঁশিয়ারি দেন। এর জবাবে জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী তাকে এই কথাগুলি স্থানীয় সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীকে জানাতে বলেন।এদিন সকাল থেকেই এই কথপোকথনের টেপ ভাইরাল হয়েছে।
জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ লাহিড়ী জানিয়েছেন,' আমি কারও বিরুদ্ধে দোষারোপ করিনি। করণদিঘির ওই কার্যকর্তা আমাকে ফোন করে তাদের প্রার্থী ঘোষণা না করার কারন জানতে চেয়েছিল। আমি তার কারন ব্যাখ্যা করতেই ওই কথাগুলি বলেছি।'