সংক্ষিপ্ত

  • সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ ডেবরার বিজেপি প্রার্থী 
  • গ্রেফতারি পরওয়ানা থেরে স্বস্তি চান
  • রাজ্য সরকার হয়রান করছে বলে অভিযো 
  • অভিযোগ একদা মমতা ঘনিষ্ট ভারতী ঘোষের 
     

গ্রেফতারি পরওয়ানা স্থগিত ও তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা এফআইআর খারিজের আর্জি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন বিজেপি প্রার্থী তথা প্রাক্তন আইপিএস অফিসার ভারতী ঘোষ। বিজেপি তাঁকে পশ্চিম মেদিনীপুরের দেবরা কেন্দ্রের প্রার্থী করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে মাঠে নামছেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী তথা প্রাক্তন আইপিএস হুমায়ুন কবীর। 

সোমবার বিচারপতি ইউইউ ললিত ও কেএম জোসেফের বেঞ্চ বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের আদেবন গ্রহণ করেছে। আগামিকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হবে। ভারতীর ঘোষের আইনজীবী সমীর কুমার মামলা দায়ে করেছেন। ভারতী ঘোষ জানিয়েছেন শীর্ষ আদালত আগেই তাঁর স্বস্তি দিয়েছিল। তাঁর বিরুদ্ধে জোর করে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ না করার নির্দেশ দিয়েছিল।তিনি আরও জানিয়েছে গত ১৯ফেব্রুয়ারি ২০১৯  সালে তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তিনি আরও জানিয়েছেন আবেদনকারীকে হয়রান করার জন্য এই ধরনের অফআইআরগুলি যতক্ষণ সম্ভব গোপন রাখা হয় । একই সঙ্গে তিনি বলেন আবেদনকারী যাতে আইন আদালত নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে সেই জন্য এই জাতীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছ। আর প্রশাসনের এই পদক্ষেপে  তাঁর রাজনৈতিক জীবনে সংকট তৈরি হতে পারে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি।  

ভারতী ঘোষ আরও জানিয়েছেন লোকসভা নির্বাচনের সময় অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১২ মে তাঁর বিরুদ্ধে  কেশপুর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। সেই সময় তিনি ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন। তিনি আরও বলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু সেই সময় ঘাটাল লোকসভা কেন্দের তৃণমূল কংগ্রেসেরগুন্ডারা তাণ্ডব চালিয়ে গিয়েছিল। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁর ওপরেও হামলা চালিয়েছিল পুরো ঘটনায় নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছিল পুলিশ। তেমনই অভিযোগ করেছেন ভারতী  ঘোষ। 

ভারতীয় ঘোষের অভিযোগ, কেশপুরে দায়ের হওয়ার এফআইআর-টি সম্প্রতি আপলোড করা হয়নি। সেই কারণে তিনি এই বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন না। একই সঙ্গে তিনি বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরওয়ানা জারি না হওয়ায় এই বিষয়টি তিনি জানতেন না। এক বছর ১০ মাস ধরে রাজ্যপুলিশ এই এফআইআর সম্পর্কে তাঁকে কোনও কিছু জানায়নি বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর থানায় দায়ের হওয়া এফআইআর বাতিল ও শীর্ষ আদালতে তাঁর আবেদনের অবকাশ অবধি এই মামলা থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা সহ সমস্ত কার্যক্রমের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের করা সমস্ত এফআইআর-এর তালিকাও রাজ্য সরকার যাতে তাঁকে দেয় সেই আবেদনও জানিয়েছেন তিনি।  একটা সময় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ট ছিলেন তিনি। কিন্তু বর্তমানে তিনি বিজেপির প্রার্থী হয়ে রাজনৈতিক লড়াই শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে।