সংক্ষিপ্ত
- বিমল গুরুং বিজেপির বিরোধিতা করছেন
- বললেন পাহাড়ের মানুষ চায় না বিজেপি
- ৭ বছর বিজেপি কিছুই করেনি গোর্খাদের জন্য
- উল্টো কথা জিএনএলএফ নেতার মুখে
দার্জিলিংএর পাঁচটি আর কালিম্পংএর একটে আসনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। পাহাড়ে ভোট আর বিমল গুরুং কিছু বলবেন না তাই কখনও হয়? ভোটের দিনেই গোর্খা নেতা বিমল গুরুং বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন। তিনি বলেন গত পাঁচ থেকে সাত বছর ধরে তাঁর সম্প্রদায়ের জন্য কিছুই করেন বিজেপি। বাংলার মানুষও বিজেপিকে সমর্থন করবে না বলেও সংবাদ সংস্থা এএনআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন গুরুং। তিনি আরও বলেছেন বাংলায় বিজেপির জয়ের সম্ভাবনা খুবই কম। এদিন স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়েই ভোট দেন বিমল গুরুং।
মদন মিত্রর বুক পকেট সার্চ, কামারহাটিতে ধমক খেল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা ...
বিমল গুরুং বলেছেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় থেকে বিজেপি গোর্খাদের একগুচ্ছ প্রতিশ্রুতি গিয়েছিল। তকিন্তু এখনও পর্যন্ত গোর্খাদের দেওয়া কোনও প্রতিশ্রুতি পালন করা হয়নি। মোদী সরকারের দেওয়া প্রতিশ্রুতির পর কেটে গেছে ৬-৭ বছর । কিন্তু গোর্খারা আগে যে তিমিরে ছিল এখনও সেই তিমিরেই রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, গত ১৫ বছর ধরেই তিনি বিজেপি সমর্থন করে এসেছেন। তাতে শুধু হতাশই হয়েছেন।
করোনাভাইরাসের খাঁড়া মাথায় নিয়েই পঞ্চম দফা ভোট গ্রহণ, ৪৫ আসনে জোর লড়াই দু
বিমল গুরুং শুধু পাহাড়েই আবদ্ধ থাকেননি। তিনি বলেন বাংলার সমতলের কথাও বলেন। তিনি বলেন, বাংলায় বিজেপির জনসমর্থন নেই। তৃণমূল স্তরে বিজেপির তেমন কোনও প্রভাবও নেই। হিংসা আর ভাঙচুর করে ক্ষমতায় আসা সহজ নয় বলেও বিজেপিকে নিশানা করে বলেছেন বিমল গুরুং। ২০১১ সাল সালে বামেদের বিরোধিতা করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেছিল গোর্খা নেতা বিমল গুরুং। কিন্তু ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে সমর্থন করেন। তারপরই ধীরে ধীরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রণ বাড়ছে, কুম্ভ মেলাকে প্রতীকী রাখার আর্জি প্রধানমন্ত্রী মোদীর ...
পাহাড়ে হিংসা ছড়িয়ে পড়া ও পুলিশ অফিসার অমিতাভ মালিকের মৃত্যুর পরই পাড়াহ ছাড়তে বাধ্য হন গোর্খা নেতা বিমল গুরুং ও রোশন গিরি। তারপর তিস্তা ও রঙ্গিত দিয়ে অনেক জয় বয়ে যায়। বিজেপির সঙ্গে ছেড়ে আবারও মমতার হাত ধরেন বিমল গুরুংরা। পাহাড়ে ফিরে আসেন। কিন্তু ততদিনে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা দুইভাগে ভাগ হয়ে গেছে। বর্তমানে পাহাড়ের রাজনৈতি অন্য সমীকরণ নিয়েছে। তবে বিজেপি সমর্থিত জিএনএলএফ-এর নেতা মান ঘিসিং বলেছেন পুরো পরিস্থিতি দেখার পর যা মনে হচ্ছে তাতে পাহাড় একটি বড় রকমের পরিবর্তন চায়। তিনি আরও বলেন খেলা এখনও শেষ হয়নি। পাহাড়ের বাসিন্দারা বিজেপি সরকার চাইছে বলেও দাবি করেছেন তিনি।