সংক্ষিপ্ত
- নির্বাচন কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট
- কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ের জন্য পুরোপুরি দায়ী কমিশন
- 'তৃণমূল কংগ্রেস করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর', বার্তা শমিকের
- কোর্টের মন্তব্যকে সায় দিতেই বিজেপির নিশানায় মমতা
মাদ্রাজ কোর্টের মন্তব্যকে সায় দিতেই বিজেপির নিশানায় মমতা। মূলত সোমবার সপ্তম দফার ভোটে বিধানসভা ভোটের শেষ প্রচার সভায় ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। করোনা সংক্রমণ নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়কে সমর্থন করেছেন মমতা।
এদিন মমতা বলেছেন, একজন প্রধানমন্ত্রী বিপর্যয় মোকাবিলা না করে বাংলা দখল করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। যার জন্য করোনার এই অবস্থা। প্রধানমন্ত্রী এই আচরণগুলি কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। কমিশন প্রতিহিংসা মূলক আচরণ করেছে, এমনও অভিযোগ করলেন মমতা। কমিশন-বিজেপির টিয়া-ময়না। বিজেপির কথা ৩ লক্ষ্য বাহিনী এনে করোনা ছড়িয়েছে। যখন যেবাবে ইচ্ছে পুলিশ বদলি করে দিচ্ছে। ভাবছে এভাবে নির্বাচন জিতে যাবে, কিন্তু তা কোনও দিনও সম্ভব হবে। আমি ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে সহ্য করেছি। অনেক কিছু বুঝতে পেরেও চুপ করে থেকেছি। কমিশন বিজেপির হয়ে কাজ করছে। আমার কাছে প্রমাণ আছে। আমি আদালতে যাব।' সপ্তম দফার ভোটের দিনে করোনা সংক্রমণ নিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের রায়কে সমর্থন করেছেন মমতা।
প্রসঙ্গত, কোভিড পরিস্থিতিতে ভোট পরিচালনা এবং রাজনৈতিক সভার অনুমোদন দেওয়ায় কমিশনকে তীব্র ভর্ৎসনা করল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং সেন্থিকুমার রামমূর্তির বেঞ্চ জানিয়েছে, কোভিডের দ্বিতীয় ওয়েভ বা ঢেউয়ের জন্য পুরোপুরি দায়ী নির্বাচন কমিশন। এখানেই শেষ নয়, নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের বিরুদ্ধে খুনের মামলা করা উচিত বলে মনে করেছেন প্রধান বিচারপতি। রাজনৈতিক দলগুলি বিধি ভঙ্গের কাজ করলেও কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হয়নি বলে কমিশনকে দায়ী করে মাদ্রাজ হাইকোর্ট। এদিকে মাদ্রাজ হাইকোর্টের মন্তব্য়কে স্বাগত জানাতেই বিজেপির নিশানায় পড়েছেন মমতা।
আরও পড়ুন, বেলেঘাটা ID-তে করোনা রোগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, তীব্র উত্তেজনা হাসপাতালে
বিজেপি নেতা শমিক ভট্টাচার্য বলেছেন, নির্দিষ্ট তথ্যের উপর ভিত্তি করেই কথা বলে আদালত। আমি বলতে চাই সারা পৃথিবীর বিজ্ঞানীরাই করোনা নিয়ে লড়ছে। মহারাষ্ট্রে, ঝাড়খন্ড, দিল্লিতে এই মুহূর্তে নির্বাচন নেই। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকারের ব্য়র্থতায় করোনা বাড়ছে। মানুষের জন্য আইনের জন্ম হয়েছে। আইনের জন্য মানুষের জন্ম হয়নি। এই রায় হতাশাজনক-দুর্ভাগ্য়জনক। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর একটাও সঠিক রাজ্য সরকারের তরফে পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস করোনার চেয়েও ভয়ঙ্কর।