সংক্ষিপ্ত

  • ভোটের আবহে বাস ধর্মঘটের ডাক
  • জানুয়ারি শেষে দুর্ভোগের আশঙ্কা
  • ধর্মঘটের ইন্ধন জোগানের নেপথ্যে কে
  • খোলসা করলেন প্রাক্তন পরিবহণ মন্ত্রী

বিধানসভা ভোটের আগে শহর কলকাতা সহ গোটা রাজ্যে বাস ধর্মঘটের ডাক দিল সংগঠনগুলি। ডিজেলের উপর জিএসটি বসানো এবং কর কমিয়ে দেওয়া সহ একাধিক দাবিতে ধর্মঘটের ডাক। জানুয়ারি মাসের শেষে তিন দিন শহরের বেসরকারি বাসের দেখা মিলবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে ইতিমধ্যেই। শুধু তাই নয়, দাবি পূরণ না হলে লাগাতার ধর্মঘটের হুমকি দিয়েছে সংগঠনগুলি। 

আরও পড়ুন-পুরুলিয়ায় মেজাজ হারালেন মুখ্যমন্ত্রী, 'বকেছি কিছু মনে করো না', বললেন শান্ত মমতা

বাস ধর্মঘটের প্রভাব পড়তে পারে গোটা রাজ্য জুড়েই। বাস ও মিনিবাস সংগঠনগুলি এই ধর্মঘটের দাম দিয়েছে। দিনে দিনে বাড়ছে জ্বালানির দাম। মঙ্গলবার কলকাতায় লিটার প্রতি ডিজেলের দাম বেড়েছে ২৫ পয়সা। এই অবস্থায় রাজ্যের বিভিন্ন রুটে অতিরিক্ত বাস ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। কোভিড পরিস্থিতির মধ্য়ে জ্বালানির খরচ বাড়তে থাকায় বাস চালানো সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি জানিয়েছে বাস সংগঠনগুলি। মঙ্গলবার সেই নিয়ে বৈঠকে বসেন বাস মালিক সংগঠন। নতুন করে ভাড়া পুনর্বিন্যাসের দাবি জানানো হয়েছে সংগঠনের তরফে। সেখানেই জানুয়ারি শেষে তিন দিনের বাস ধর্মঘটের সিদ্ধান্ত হয়। বাস ধর্মঘটের নেপথ্য়ে বিজেপির ইন্ধন রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী মদন মিত্র। 

আরও পড়ুন-স্বাস্থ্যসাথীর কার্ড ফেরাল তৃণমূল নেতার নার্সিংহোম, চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতেই শয্যশায়ী দিনমজুর

আগামী ২৮, ২৯, ৩০ জানুয়ারি বাস ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ভাড়া বৃদ্ধি সহ আরও বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছেন বাস মালিকরা। তাঁদের দাবি পূরণ না হলে আগামী দিনে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় শহর কলকাতায় বাস ও মিনিবাস নাও দেখা মিলতে পারে। শুধু তাই নয়, গোটা রাজ্যেই বেসরকারি বাস চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে জানুয়ারি শেষে বাস ধর্মঘটের জেরে চূড়ান্ত দুর্ভোগের শিকার হতে পারেব বাসযাত্রীরা।