সংক্ষিপ্ত

  • কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তি ফিরল ছত্রধরের  
  •  খুনের মামলায় হাইকোর্টে শুনানি ছিল ছত্রধরের 
  •  ছত্রধরকে হেফাজতে চেয়ে আবেদন করে এনআইএ 
  • তবে তা শুক্রবার খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট 


কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে স্বস্তি ফিরল ছত্রধরের। উল্লেখ্য, প্রবীর মাহাতো খুনে শুক্রবারই হাইকোর্টে শুনানি ছিল অভিযুক্ত ছত্রধর মাহাতোর। ছত্রধরকে হেফাজতে চেয়ে এনআইএ যে আবেদন করেছিল তা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। 

আরও পড়ুন, 'এত দিন কী ঘুমাচ্ছিল-তৃণমূলে যেতেই তদন্তে নামল NIA', খুনের মামলায় ছত্রধরের আজ হাইকোর্টে শুনানি 

 

প্রসঙ্গত  প্রবীর মাহাতো খুনের মামলা নিয়ে এশিয়া নেট বাংলার এক সাক্ষাতকারে  ছত্রধর মাহাতো জানিয়েছেন, 'আমার বাড়ি থেকে ২০ কিমি দূরে, বহরমপুরে প্রবীর মাহাতো নামের এক ব্যক্তি খুন হয়েছিলেন। সেই খুনের মামলায় আমাকে ৫ নম্বর আসামী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এফআইআর ছাড়াই কাউকে গ্রেফতার করে, তার বলা নামের ভিত্তিতে আমাকে গ্রেফতার করা হয়। এই মামলায় যারা সাক্ষী দিচ্ছেন তাঁদের কাউকেই আমি চিনি না। যিনি খুন হয়েছেন তাঁকে এবং তাঁর বাড়িও আমি চিনি না। পশ্চিমবঙ্গের সকলেই আমাকে চেনে, কিন্তু আমি তো সকলে চিনি না। এটা পুরোটাই ওদের সাজানো কেস। এবং সেখানে আমাকে জড়ানো হয়েছে। দশটা বছর আমি বিচারাধীন অবস্থায় আমি জীবন কাটিয়েছি। '

 

আরও পড়ুন, আজই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারে বামেরাও, তরুণ প্রজন্মের ওপর ভরসা রাখতে পারে দল 

 

ছত্রধর আরও বলেন, ' এই খুনের কেসটি যখন ঘটে, সেসময় এনআইএ-র জন্মও হয়নি। কিন্তু আমি যখন ১০ বছর কাস্টডিতে ছিলাম, এনআইএ কেন তখন আগে তদন্ত করল না, প্রশ্ন তুললেন এবার ছত্রধর নিজেই।  উল্লেখ্য,  মুম্বাই বিস্ফোরণ কাণ্ডের পর ২০০৯ সালে এনআই-এর জন্ম হয়। তবে তারপরেও কেন সেইসময় প্রবীর মাহাতো খুনের কেসে তদন্তে নামল না এই তদন্তকারী সংস্থা, এই দশবছর কেন ঘুমাচ্ছিল এনআইএ, আবারও প্রশ্ন তোলেন ছত্রধর।  আমি জেল থেকে বেরিয়ে প্রথমে কোনও রাজনৈতিক দলে যোগ দিইনি। আর তখন কোনও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাও এই কেসের তদন্তে নামেনি। যেই আমি এরপর তৃণমূলে যোগদান করলাম, তারপরেই তদন্তে নামতে হল এনআইএ-কে, কটাক্ষ করেন তিনি। ' 

আরও পড়ুন, শুভেন্দু বনাম মমতা, ২ হেভিওয়েটের লড়াই কি হচ্ছে একুশের নির্বাচনে, অপেক্ষায় নন্দীগ্রাম 

 
প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানিতে ছত্রধরের আইনজীবী দেবাশীস রায় আদালতে মামলার যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তিনি বলেন, সিপিএম নেতা প্রবীর মাহাতো খুন হওয়ার পর তাঁদের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে খুন এবঁ দেশদ্রোহের মামলা দায়ের করা হয়। যার সর্বোচ্চ সাজা আমৃত্যু কারাবাস। ১৩ বছর বাদে ছত্রধর মাহাতো সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে ইউপিএ ধারা যোগ করার যৌক্তিকতা কোথায়, প্রশ্ন তোলেন আইনজীবি দেবাশিস রায়। তবে শুক্রবার প্রার্থীঘোষণার আগে একই সঙ্গে স্বস্তিতে ফিরল ছত্রধর মাহাতো এবং তৃণমূল। কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, আগামী ২৪ তারিখ পর্যন্ত রাজ্যের বাইরে যেতে পারবেন না ছত্রধর। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ২৪ মার্চ।