সংক্ষিপ্ত

 

  • স্বাস্থ্য দফতর নিজেই নিলেন মুখ্যমন্ত্রী
  • অর্থের দায়িত্বে আগের মতোই অমিত মিত্র
  • শিল্প-বাণিজ্য-তথ্য প্রযুক্তির দায়িত্বে পার্থ 
  • শিক্ষার দায়িত্ব পেলেন ব্রাত্য বসু

কোভিড পরিস্থিতির জন্য অতি অল্প সময়েই শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান করা হল রাজভবনে।   প্রথমেই ভার্চুয়ালি শপথ পড়লেন অমিত মিত্র।করোনা আক্রান্ত ব্রাত্য বসু। তাই তিনি রাজভবনের পরিবর্তে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিত্বের শপথ নিলেন। একইভাবে আরও দুই মন্ত্রী শপথ নিলেন রাজ্যে আরও দুই মন্ত্রী অমিত মিত্র এবং রথিন ঘোষ। বাকিরা নিজের জায়গায় দাড়িয়ে শপথ গ্রহণ করলেন। মোট ৪৩ জন মন্ত্রীর মধ্য়ে রয়েছে ২৪ জন পূর্ণমন্ত্রী, ১০ জন স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী এবং ৯ জন প্রতিমন্ত্রী। গোটা অনুষ্ঠানই শেষ হয়ে গেল মাত্র ৭ মিনিটে। এবার জেনে নেওয়া যাক কে কোন দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন।
 

আরও পড়ুন, 'মেয়েরা শুধু হেঁশেল সামলায় না- সব কাজ করতে পারে', মমতার মন্ত্রিসভায় জঙ্গলমহলের তিন মহিলা 


 তৃণমূল সূত্রে খবর, স্বরাষ্ট্র, পাহাড় বিষয়ক দফতর, কর্মী বর্গ দফতর, ভূমি সংষ্কার দফতর, স্বাস্থ্য দফতর, তথ্য সংষ্কৃতি দফতর, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতর  নিজের দায়িত্বে রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়।

 

এবার জেনে নেওয়া যাক পূর্ণাঙ্গ মন্ত্রী রূপে কার দায়িত্বে কোন বিভাগ

 পার্থ চট্টোপাধ্যায়-শিল্প-বাণিজ্য, তথ্য প্রযুক্তি, দফতর বিষয়ক। অমিত মিত্র পেয়েছেন -অর্থ দফতর, যোজনা এবং পরিসংখ্যান। সাধন পান্ডে পেয়েছেন-ক্রেতা বিষয়ক, স্বনির্ভর গোষ্ঠী-স্বনিযুক্তি। জ্য়োতিপ্রিয় মল্লিক পেলেন-বন এবং অচিরাচরিত শক্তির উৎস। বঙ্কিম হাজরা পেয়েছেন সুন্দরবন বিষয়ক দফতরে। জল অনুসন্ধান বিভাগে পেয়েছেন মানস ভুঁইয়া। সেচ এবং জল পরিবহণ দফতরে মন্ত্রীত্ব পেলেন সৌমেন মহাপাত্র। আইন-বিচার ব্যবস্থা, পূর্ত দফতরের দায়িত্ব পেলেন মলয় ঘটক। কারা দফতরের দায়িত্ব পেয়েছেন উজ্জ্বল বিশ্বাস। বিদ্যুৎ-ক্রিড়া যুব কল্যাণ বিভাগ পেয়েছেন অরূপ বিশ্বাস।  সমবায় বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন অরূপ রায়। খাদ্য এবং গণ বন্টনের দায়িত্বে পেয়েছেন রথীণ ঘোষ। পরিবহণ এবং আবাসন বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। ক্ষুদ্র মাঝারি শিল্প-বস্ত্র বিভাগের দায়িত্বে রয়েছেন চন্দ্রনাথ সিনহা। কৃষি দফতর পেলেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। স্কুল শিক্ষা দফতরের দায়িত্বে ব্রাত্য বসু। মহিলা এবং শিশু কল্যাণ বিভাগে শশী পাঁজা। সংখ্যা লঘু উন্নয়ন দফতরের দায়িত্বে  মহম্মদ গোলাম রব্বানি। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরে জাভেদ আহমেদ খান। প্রাণী সম্পদ উন্নয়নের দায়িত্ব পেলেন স্বপন দেবনাথ। মাস এডুকেশন এবং লাইব্রেরির দায়িত্বে  সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী।

আরও পড়ুন, কোভিডের জেরে মুহূর্তেই শেষ ৪৩ মন্ত্রীর শপথ, রাজভবনে বেজে উঠল জাতীয় সঙ্গীত 


এবার জেনে নেওয়া যাক স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী রূপে  কার দায়িত্বে কোন বিভাগ

 

শ্রম দফতরে বেচারাম মান্না।  খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ এবং হর্টি কালচারের দায়িত্বে সুব্রত সাহা। টেকনিক্যাল এডুকেশন, প্রশিক্ষণ, স্কিল ডেভলপমেন্টের দায়িত্বে রয়েছেন হুমায়ুন কবীর। মৎস চাষ দফতরের দায়িত্বে  অখিল গিরি। নগোর উন্নয়ন -পুর বিষয়ক-স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে  চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। পরিবেশ -বিজ্ঞান প্রযুক্তি-বায়ো টেকনোলজির দায়িত্বে রয়েছেন রত্না দে নাগ। পশ্চিমাঞ্চল  উন্নয়ন-সংসদ বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে সন্ধ্যারানি টুডু। অনগ্রসর শেণ্রী কল্যাণ- আদিবাসী উন্নয়নের দায়িত্বে বুলুচিক বারাইক।
দমকল এবং জরুরী পরিষেবার দায়িত্বে সুজিত বসু। পর্যটন দফতরের দায়িত্বে ইন্দ্রনীল সেন।

 

আরও দেখুন, Live Covid 19- বিধানসভার বিরোধী দলনেতা নির্বাচিত শুভেন্দু অধিকারী 

 

এবার জেনে নেওয়া যাক  প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বপ্রাপ্ত রূপে  কার দায়িত্বে কোন বিভাগ


পরিবহণে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে রয়েছেন দিলীপ মন্ডল।  বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে আখরুজ্জামান। পঞ্চায়েত এবং গ্রাম উন্নয়ন বিভাগের  প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে শিউলি সাহা। ক্ষুদ্র-মাঝারি শিল্প- বস্ত্রের দফতরের প্রতিমন্ত্রী শ্রীকান্ত মাহাতো। সাবিনা ইয়াসমিন প্রতিমন্ত্রী রূপে দায়িত্ব সামলাবেন সেচ-জল পরিবহণ-উত্তরবঙ্গ গ্রাম উন্নয়োন। বন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা।  খাদ্য-গণ বন্টনে প্রতিমন্ত্রী জ্য়োৎস্না মান্ডি। স্কুল-শিক্ষায় পরেশ চন্দ্র অধিকারী এবং যুব-ক্রীড়া বিভাগের প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন মনোজ তিওয়ারি।