সংক্ষিপ্ত

  • ৫ বছরে দেড় কোটি চাকরির প্রতিশ্রুতি 
  • প্রতিশ্রুতি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী 
  • হুগলির জনসভা থেকে প্রতিশ্রুতি 
  • শিল্প হবে বলেও বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের 

মঙ্গলবার হুগলির জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বলেছিলেন এই রাজ্যে প্রায় শুকিয়ে গেছে। বর্তমানে কাজের সন্ধানে এই রাজ্যের বাসিন্দাদের ভিন রাজ্যে যেতে হয়। কিন্তু একটা সময় ছিল যখন ভিন রাজ্যের বাসিন্দারা কাজের সন্ধানে এই রাজ্যে আসত। আর প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মমতা বন্দ্যোপায় হুগলির জনসভা থেকেই কর্মসংস্থানের প্রতিশ্রুতি দিলেন। তিনি বলেন  আগামী ৫ বছরে এই রাজ্যে দেড় মানুষের মানুষের কাজের ব্যবস্থা করা হবে। কী ভাবে কাজের ব্যবস্থা করা হবে তারও স্পষ্ট ব্যখ্যা দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। 

কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে ৪০ লক্ষ ট্র্যাক্টরের সংসদ অভিযান, রাজস্থান থেকে ডাক কৃষক নেতার ...

প্রতিহিংসা রাজনীতি হচ্ছে, অভিষেকের সঙ্গে রাকেশ সিং-এর তুলনা করে সরব বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ

এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, হুগলি থেকে বর্ধমান হয়ে রঘুনাথপুর পর্যন্ত রেললাইনের ধার বরাবার এলাকায় শিল্পায়ন হবে। সেখানে কাজ পাবেন রাজ্যের ছেলেমেয়েরা। ই রাজ্যে ৪০ শতাংশ দারিদ্র তাঁর সরকার দূর করেছে বলেও সওয়াল করেন তিনি। তারপর ডানলপ বন্ধের কারণ জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করেন। পাশাপাশি তুলে ধরেন তাঁর সরকারের উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলির কথাও। 

চলতি বছর বাজেট পেশের শেষ পর্বেও বিধানসভা দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন তাঁরা  সরকার আগামী পাঁচ বছরে রাজ্যে দেড় কোটি কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে। সেই সময়ই তিনি স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছিলেন সরকারি, আধা সরকারি, বেসরকারি কন্ট্র্যাকচুয়াল কর্মসংস্থান ধরেই দেড় কোটির হিসেবে দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে তিনি বলেছিলেন তাজপুর সমুদ্র বন্দর, অশোকনগর তেলের ভাণ্ডার, দেউচা পচামি কয়লাখনি, বেঙ্গলসিলিকন ভ্যালি সহ একাধিক ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের কথা বলা হয়েছিল। বিধানসভা ভোট আসন্ন। আগেই সিপিএম কর্মসংস্থানের পাশাপাশি রাজ্যে শিল্পয়ান হবে বলেও ভোট প্রচার শুরু করেছে। বিজেপিও আত্মনির্ভর ভারত অভিযানকে সামনে রেখে কর্মসংস্থানের কথা বলতে শুরু করেছে। ভোট যুদ্ধে এগিয়ে থাকতে হুগলির জনসভা থেকে আরও একবার কর্মসংস্থনের আওয়াজ তুললেন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।