সংক্ষিপ্ত

 

  • আগামী ৭২ ঘন্টা কোচবিহার প্রবেশে নিষাধাজ্ঞা  
  • যেতে পারবেন না কোনও রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব
  • কমিশনের নির্দেশের পর যেতে পারবেন না মমতাও 
  •  দুই পর্যবেক্ষকের রিপোর্টের পর নির্দেশিকা জারি 
     

আগামী ৭২ ঘন্টা কোচবিহারে প্রবেশ নিষিদ্ধ সকল নেতা-নেত্রীর, নির্দেশ কমিশনের। এদিকে রবিবার সেখানে রওনা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কিন্তু কমিশনের নির্দেশের পর যেতে পারবেন না মমতাও। 

আরও পড়ুন, 'কোচবিহারের ঘটনা দুঃখজনক', মৃতের পরিবারের প্রতি সমবেদনা মোদীর  

পঞ্চম দফা ভোটের আগে নয়া বিধি লাগু করল নির্বাচন কমিশন। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে কোনও রাজনৈতিক দলের নেতাই কোচবিহারে প্রবেশ করতে পারবেন না। উল্লেখ্য, চতুর্থ দফার ভোটের সকালেই রক্তাক্ত হয়েছে  কোচবিহার। মৃত্যু হয়েছে  ৫ জনের। এদের মধ্য়ে কেন্দ্রীয়বাহিনীর গুলিতে তাঁদের মধ্য়ে ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চতুর্থ দফা ভোটের দিন শীতলকুচির অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির পর রবিবার শীতলকুচির সেই জোড়াপাটকি গ্রামে রওনা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। কিন্তু কমিশনের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী আগামী ৭২ ঘন্টা মমতা সহ কোও রাজনৈতিক নেতা-নেত্রী সেখানে যেতে পারবেন না। তাই রবিবার শীতলকুচি যাচ্ছেন রাজ্যপুলিশের ডিজি।

 

আরও পড়ুন, 'নির্মম আক্রমণ চালিয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী', পাঁচলা-শীতলকুচি কাণ্ডে BJP-কে নিশানা মমতার 


মূলত দুই বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক এবং বিবেক দুবের রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন। ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে যে বেশ কয়েকটি দলের নেতারা নিহত এবং আহত পরিবারকে সমবেদনা জানতে যেতে পারেন। যার ফলে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়ে আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্বের উপস্থিতিতে  পরিস্থিতি উত্তপ্ত হতে পারে বলে স্পষ্ট জানিয়েছে ওই দুই পর্যবেক্ষক। আর তারপরেই আগামী ৭২ ঘন্টা কোচবিহারে সকল নেতা-নেত্রীর প্রবেশে নিষাধাজ্ঞা জারি করেছে কমিশন।