সংক্ষিপ্ত
- কমিশনের গাড়িতে আগুন লাগার ঘটনায় নয়া তথ্য
- শুক্রবার ভয়াবহ ঘটনাটি ঘটে পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে
- গাড়ি পুড়ে যাওয়ার দায় এড়াতে গল্প ফেঁদেছে চালক
- দুষ্কৃতীর উপরে দায় চাপিয়েছিল বলে পুলিশের দাবি
নির্বাচন কমিশনের গাড়িতে আগুন লেগে ভষ্মিভূত হওয়ার ঘটনায় উঠে এল নয়া তথ্য। উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১-এর প্রথম পর্বের ভোট গ্রহণ শুরুর ঠিক আগে গতকাল রাতে ভয়াবহ হিংসার ঘটনা ঘটে বাংলার বুকে। তবে এবার পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে নির্বাচন কমিশনের গাড়িতে অগ্নিকাণ্ড নিয়ে উঠে এল নতুন তথ্য।
আরও পড়ুন, আজ রাজ্য়ে প্রথম দফার ভোট, সকল বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন, কড়া নজর কমিশনের
প্রসঙ্গত, গতকাল রাতে অভিযোগটা ছিল পুরোপুরি আলাদা। শুক্রবার রাতে, পুরুলিয়ার বান্দোয়ানে বুথ কর্মীদের নামিয়ে ফিরছিল নির্বাচন কমিশনের একটি গাড়ি। সেইসময়ই পাশের জঙ্গল থেকে কিছু অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতী রাসায়নিক ছুঁড়ে মারে গাড়িটি লক্ষ্য করে বলে অভিযোগ জানিয়েছিল চালক। এরপর তাঁকে বের হতে না দিয়ে গাড়িটিতে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা। গামছা দিয়ে মুখ ঢাকা ওই দুষ্কৃতীরা তারপর আবার জঙ্গলের পথেই পালিয়ে যায়। পরে গাড়ি-চালক বের হতে পারলেও, পুরো গাড়িটিই ঝলসে যায়। ঘটনার পর পুরো এলাকা ঘিরে ফেলেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও বান্দোয়ান থানার পুলিশ। জঙ্গেলর পথেও অনুসন্ধান চলছে ওই দুষ্কৃতীদের। কারা এই কাজ ঘটালো তাই নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। যদিও পুলিশের দাবিটা এক্ষেত্রে পুরোপুরিই ভিন্ন।
আরও পড়ুন, শালবনীর পর এবার উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্রকে নিশানা, কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, ফের কাঠগোড়ায় তৃণমূল
পুলিশের দাবি, চালক জেরায় জানিয়েছে গাড়ি থামিয়ে রাস্তার ধারে তিনি বিড়ি খাচ্ছিলেন, অসাবধনতা বশত গাড়িতে থাকা পেট্রোলে সেই আগুন গিয়ে পড়ে এবং তা থেকে আগুন লেগে যায়। পুলিশের দাবি, চালক গাড়ি পুড়ে যাওয়ার দায় এড়াতে প্রথমে একটা গল্প ফেঁদেছিল, দায় চাপিয়েছিল কিছু দুষ্কৃতীর উপরে। উল্লেখ্য, বান্দোয়ান একটা সময় মাওবাদী উপদ্রুত অঞ্চল নামে পরিচিত ছিল। যৌথবাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষে প্রতিদিনই রক্ত ঝরত। তবে মমতা সরকার আসার পরেই ধীরে ধীরে প্রভাব কমেছিল মাওবাদীদের।