সংক্ষিপ্ত

  • কার্শিয়াং-এ জনসভা বিমল গুরুংদের
  • ঘর আপাসি সভা থেকেই হুমকি 
  • অনীত থাপাদের হুমকি 
  • জিয়ে রাখলেন তৃণমূল-বিজেপি দ্বন্দ্ব 
     

প্রবল ঠান্ডার মধ্যেও গরম হয়ে উঠছে পাহাড়ের রাজনীতি। অনিত থাপার পাল্টা রবিবার পথে নামলেন দার্জিলিংএর মোর্চা নেতা বিমল গুরুং। কার্শিয়াং ডিভিশনের বিমলপন্থীদের পক্ষ থেকে একটি সভার আয়োজন করা হয়। বিমলপন্থীদের তরফ থেকে বলা হয় এটা ঘরে ফেরার সভা। গত সাড়ে তিন বছর ধরে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার বিমলপন্থী যেসব নেতারা ঘরে ফিরতে পারেননি তাঁদের ঘরে ফেরাতেই এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত ছিলেন বিমল গুরুং ও তাঁর ঘনিষ্ট রোশন গিরি। 

এদিন রোশন গিরি বলেন ২০১৭ সালে পাহাড় জুড়ে যে আন্দোলন হয়েছিল তা অনিত থাপা ও বিনয় তামাংরা বিক্রি করেদিয়েছিল। দাবি আদায়ে সুবিধে হবে বলেও তিনি ও বিমল গুরুং বিজেপির হাত ধরেছিলেন। কিন্তু দীর্ঘ অপেক্ষার পরেও বিজেপি তাঁদের জন্য বা পাহাড়বাসীদের জন্য কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। সেই কারণেই তাঁরা বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে আরও একবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরেছেন। আগামী দিনে পাহাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁরা জোট বেঁধে লড়াই করবেন বলেও জানিয়েছেন রোশন গিরি। আগামী ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে আরও একবার নবান্ন দখল করতে পারেন সেদিকেও তাঁরা নজর দেবেন বলে জানিয়েছেন। 

অনিত থাপার পদযাত্রা জিটিএর গদি বাঁচানোর জন্য, আমরা যে জনসভা করছি তা আমাদের লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য বললেন রোশন গিরি। কার্শিয়াং ডিভিশনের মোর্চার সমর্থকেরা দীর্ঘ সারে তিন বছর ধরে ঘর ছাড়া রয়েছে তাদের আজ ঘরে ফেরার পাশাপাশি  এক সভার আয়োজন করে বিমল গুরং ও রোশন গিরি। সিতং এ সেই সভায় অংশ গ্রহন করতে এসে বিমল পন্থী মোর্চার সম্পাদক রোশন গিরি গতকাল অনিত থাপার পদযাত্রা প্রসঙ্গে বলেন জিটিএর গদি বাঁচানোর জন্য পদযাত্রা করছে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য। যারা পাহাড়ে তাদের বাড়ী থেকে পালিয়েছিল সভাপতির নেতৃত্বে তাদের আজ ঘরে ফেরানো হচ্ছে। ২০১৭সালে যে আন্দোলন পাহাড় জুড়ে শুরু হয়েছিল সে আন্দোলনকে অনিত থাপা আর বিনয় তামাং বিক্রি করে দিয়েছিল। আমারও বিজেপির উপর ভরসা করে ছিলাম কিন্তুু বিজেপি আমাদের সাথে বিশ্বাস ঘাতকতা করেছে। বিজেপির চাল আমরা বুঝতে পেরে আমরা আমাদের অবস্থা থেকে সরে এসেছি।

শনিবার দুপুরে দার্জিলিং মোটর স্ট্যান্ডে একটি সভা করেন জিটিএ চেয়ারম্যান অনীত থাপা। সেখান থেকেই বিমল গুরুংকে হুংকার দেন তিনি। তিনি বলেছিলেন শনিবার রাতে দার্জিলিং শহরেই থাকবেন। বিমল গুরুং-এর যদি ক্ষমতা থাকে তাহলে তাঁকে পাহাড় ছাড়া করে দেখাক। এদিন তার উত্তর দিতে গিয়ে রোশন গিরি বলেন, তাঁরা কাউকে এলাকা ছাড়া করতে চানা না। পাহাড়বাসীর জন্যই কাজ করতে চান। বিমল গুরুং ও তিনি ফিরে আসার অনীত থাপা ও বিনয় তামাংক্ষমতা হারানোর ভয় পাচ্ছেন। সেই এজাতীয় কথাবার্তা বলছেন বলেও দাবি করেন রোশন গিরি।