রবিবার বাঁকুড়ায় সভা করেছেন নরেন্দ্র মোদীএকদিন পরও সেই সভার কথা তাঁর মাথা থেকে যাচ্ছে নাকী এমন ঘটেছিল সেই সভায়দেখে নিন কী ভিডিও পোস্ট করলেন নরেন্দ্র মোদী 

'বাঁকুড়ার গতকালের সমাবেশ আমি কখনই ভুলব না। পশ্চিমবঙ্গ খুব স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে- বিজেপিই হ'ল রাজ্যের পছন্দ। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের যথেষ্ট হয়রানি সহ্য করেছে।' সোমবার সন্ধ্য়ায় তাঁর বাঁকুড়ার সভার বক্তৃতার অংশ এবং জনগণের সাড়ার কিছু মুহূর্তের ভিডিও পোস্ট করে এমনটাই লিখলেন তিনি।

রবিবারের সভার ঘোর যেন এখনও কাটছেই না প্রধানমন্ত্রীর। সভামঞ্চ থেকে তিনি বাঁকুড়ার তুলনা করেছিলেন ব্রিগেড ময়দানের সভার সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে হেলিকপ্টার থেকে নেমে মঞ্চ পর্যন্ত রাস্তাটা আপ্লুত জনতার দিকে হাত নাড়তে নাড়তে হেঁটে যেতে দেখা গিয়েছিল। সভার আগে থেকেই জনতার ওই বিপুল সাড়া দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিলতিনি মঞ্চে ওঠার পর। রবিবারই প্রধানমন্ত্রী মোদী, তাঁর সরকারি টুইটার হ্যান্ডেলে বাঁকুড়ার সভার বিভিন্ন অংশের ছোট ছোট ভিডিও পোস্ট করেছিলেন। এদিনও জনতার সেই আবেগের রেশ যায়নি নরেন্দ্র মোদীর মন থেকে, এটা তাঁর টুইট থেকেই স্পষ্ট।

Scroll to load tweet…

সেইসঙ্গে, পশ্চিমবঙ্গে 'আসল পরিবর্তন' আসার বিষয়েও তিনি একেবারে নিশ্চিত। রবিবারের সভায় জনতার সমর্থনে উদ্বুদ্ধ প্রধানমন্ত্রী বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি ঝাঁঝালো আক্রমণও শানিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় পরিকল্পনাগুলির সুবিধা থেকে রাজ্যববাসীকে বঞ্চিত করার অভিযোগ থেকে শুরু করে, রাজ্য সরকারের দুর্নীতি, মিথ্য়া উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি - বিভিন্ন বিষয়েই আক্রমণ করেন। জনতার উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মমতা যতই খেলা হবে বলুন, রাজ্যের মানুষ ইতিমধ্যেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে 'এবার খেলা শেষ হবে'। কারণণ তাঁরা উন্নয়ন চান। স্পষ্ট বাংলায় মোদী বলেন, 'দিদি যাচ্ছে, উন্নয়ন আসছে'।

২৯৪ আসনের বিধানসভার নির্বাচনের আট দফা ভোট গ্রহণের প্রথম দফা শুরু ২৭ মার্চ। আর বাকি মাত্র ৫ দিন। তার আগে প্রধানমন্ত্রীর কর্মসুচিতে বারবার বাংলার কথা ফিরে আসবে, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। বাংলাতে বিজেপির শিকড় অনেক গভীর হলেও, স্বাধীনতার পর ৭ দশক কেটে গেলেও বাংলায় গেরুয়া শিবির খুব একটা ডালপালা মেলতে পারেনি। তবে, গত লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ৪২ আসনের মধ্যে ১৮ টি আসন জিতে রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করেছে বিজেপি। এই বারের নির্বাচনে জয়ের সম্ভাবনা খুবই উজ্জ্বল বলে মনে করছে তারা। আর তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা-সহ শীর্ষস্থানীয় নেতাদের নিয়মিত বাংলায় মাঠে নামাচ্ছে।