রাজ্য-রাজনীতিতে শিরোণামে অভিনেত্রী সায়নী  একাধিক প্রশ্ন তুলে এই মুহূর্তে মানুষের মুখেমুখে   'জয় শ্রীরাম' স্লোগান নিয়ে বিজেপিকে আক্রমণ এরপরেই বাকযুদ্ধের বাইশ গজে আসেন তথাগত রায় 


২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে এই মুহূর্তে রাজ্য-রাজনীতিতে শিরোণামে অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। বিজেপির বিরুদ্ধে তথা অন্যান্য দলগুলির কাছেও প্রশ্ন তুলে এই মুহূর্তে মানুষের মুখেমুখে সায়নী। সেই লিস্টিতে বাদ পড়েনি অমিত শাহ থেকে শুরু করে সহকর্মী রুদ্রনীল ঘোষও। তবে বোধয় আরও একধাপ এগিয়ে গেল সায়নী ঘোষ এবং মেঘালয়ে রাজ্যপাল তথাগত রায়ের বাকযুদ্ধে।

প্রসঙ্গত সম্প্রতি সায়নী বলেন, পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা বানাবে কোনও দল, কেউবা বানাবে নবরত্ন। কিন্তু বাংলার মানুষ কি চায়, তা কি কেউ জানতে এসেছে। এদিকে ধর্ম-দেব-দেবী নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতি। জয় শ্রীরাম ধ্বনিকে যেভাবে ক্রমশই রণধ্বনিতে পরিণত করা হয়েছে, তা কখনওই কাম্য নয়। ইশ্বরের নাম ভালবেসে বলা উচিত। এটা বাঙালির সংষ্কৃতির মধ্যে পড়ে না। পশ্চিমবঙ্গকে সোনার বাংলা বানানো হবে এদিকে বাংলীর গর্ব সেই অমর্ত সেনকে নিয়েই টানাটানি। বাংলায় মনীষি বিবেকানন্দ-রবীন্দ্রনাথকে টেনে আনা হচ্ছে এই রীজনীতিতে। অনেকে বাংলায় এসে রবিঠাকুরের সিটেই সোজা বসে পড়ছেন, বলে নাম না করে অমিত শাহকে আক্রমণ করে বোল সফরের কথা মনে করিয়ে দেন সায়নী। এমনকী নাড্ডার দুয়ারে দুয়ারে শস্য গ্রহন নিয়ে তোপ দাগেন তিনি।

এরপরেই টুইটে আক্রমণ করা হয় সায়নীকে। দাবি, অভিনেত্রী দেশভাগের কথা ভুলে গিয়েছেন। দেশভাগের সময় মুসলিমদের 'অপরাধের' কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। এরপরেই বাকযুদ্ধের বাইশ গজে এসে পড়েন তথাগত রায়। সায়নীকে ট্যাগ করে তিনি লেখেন, 'সায়নী টাইপের মানুষকে মূর্খ' বলে মনে করেন তিনি। সেই তালিকায় যোগ করেন বাংলার বামপন্থী মানুষদেরও। 'ছি-এসব বলতে নেই। হোক না সওয়া কোটি হিন্দু গৃহহীন, পথের ভিখারী। ওরাতো মানুষ', এমন উদাহরণ টেনে 'সেকুলারপন্থীরা' এসবই শিখিয়েছেন 'এদের' বলে আক্রমণ করেন তথাগত। 

Scroll to load tweet…

যদিও তথাগত-র এই ট্যাগ পেয়ে থেমে থাকেননি সায়নী। তিনি বলেন, তথাগত রায়ের সঙ্গে আমার পূর্ব সম্পর্ক ছিল না। কিন্তু আচমকাই আমায় ট্য়াগ করে আমার টাইপ নিয়ে কথা বলতে শুরু করেছেন । এর উত্তর দেওটা জরুরী। আমি ওনার হাঁটুর বয়সী। কোন স্তরে নামতে চাইছেন তাঁরা, এটা স্পষ্ট হয়ে গেল আমার কাছে।' এরপরে তিনি বলেন, দেশভাগের সময় কত জন হিন্দুর মৃত্যু হয়েছিল, সেই হিসেব করে এখন যাঁরা মুসলিমদের মারব বলে শাসাচ্ছে, তাঁরাই আদপে গাধী কলোনীকে গড়সে কলোনি বানাবেন। দেশের সাধারণ মানুষের দৈনদশা দেখলেই বোঝা যায়, দেশবাসীর মঙ্গলের জন্য তাঁরা কিছুই করছেন না। এরপর ফের তথাগতকে ঠুকে তিনি বলেছেন, আপনার মতো জিনিস সত্যিই পশ্চিম বাংলারমানুষের কাছে কাম্য নয়। এরপরেই 'আর পারছি না, ক্ষ্যামা দে , মা লক্ষী' বলে শেষ টুইট করেন তথাগত।

Scroll to load tweet…

Scroll to load tweet…