সংক্ষিপ্ত
- দল বদলের পরই বিস্ফোরক শুভেন্দু
- দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূল আক্রমণ
- শুভেন্দুকে পালটা কটাক্ষ কল্যাণের
- শুভেন্দুকে নিশানা করে কী বললেন কল্য়াণ?
দল বদলের পর মেদিনীপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু। তাঁর বিরুদ্ধে সরাসরি দুর্নীতির অভিযোগ করেছিলেন। শুভেন্দুর এই পরিবার তন্ত্র নিয়ে আক্রমণকে তীব্র কটাক্ষ করলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিবারের কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে আগ্রহী নন। মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে বাংলার মানুষ। মন্তব্য কল্য়াণের।
সব দল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে মেদিনীপুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় আনুষ্ঠানিকভাবে বিজেপিতে যোগদান করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূলকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন। এরপরই, তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক বৈঠক করেন শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুভেন্দুকে নিশানা করে তিনি বলেন, ''এতদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রণাম করেছিলেন। এখন অমিত শাহের পা ধরছেন। শুধু নন্দীগ্রাম নয়, রাজ্যের যে কোনও আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছেন মমতা। উনি যদি এত বড় নেতা হয়ে থাকেন, তাহলে ১৯৯৬ সালে লোকসভায় লক্ষ্মণ শেঠের কাছে কেন হেরেছেন? লক্ষ্মণ শেঠের কাছে কেনো হেরেছেন''? শুভেন্দুকে প্রশ্ন করলেন কল্যাণ।
অন্যদিকে. নন্দীগ্রাম থেকে জয়ী হয়ে বিধায়ক হয়েছিলেন শুভেন্দু। শুভেন্দুকে কল্য়াণ বন্দ্য়োপাধ্যায় চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, ''আপনাকে অনুরোধ করছি, ওই বুলেট প্রুফ গাড়ি আর ৩০ জন সিআইএসএফ নিয়ে দয়া করে নন্দীগ্রামেই আবার দাঁড়াবেন। সিটটা কিন্তু চেঞ্জ যেন করবেন না। নির্বাচনে আমরাও বুঝিয়ে দেব। একুশের নির্বাচনে তৃণমূলের নেতৃত্বে বাংলায় ঝড় উঠবে''।