নন্দীগ্রামে আক্রান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরোগ্য কামনা করলেন করলেন কেজরিওয়াল ঘটনা নিয়ে নীরব শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি দাবি তুলেছে ঘটনার তদন্ত হোক
নন্দীগ্রামে ভোট প্রচারে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছেন তাঁকে তিন থেকে চার জন মানুষ ধাক্কা মেরে ফেলে দিয়েছেন। তিনি পায়ে ও মাথায় চোট পেয়েছিলেন। গ্রিন করিডোর করে চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আরোগ্য কামনা করেছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল তেজস্বী যাদবরা। কেজরিওয়াল জানিয়েছেন তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলার তীব্র প্রতিবাদ করছেন। দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন।
আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবও পাসে দাঁড়িয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তিনি বলেছেন ভিড়ের মধ্যে গুন্ডা দিয়ে মমতার ওপর হামলা চালান খুবই নিন্দনীয়। বাংলার পুশিল নির্বাচন কমিশন ও বিজেপি দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। গণতন্ত্রের কণ্ঠ রোধ করা হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ তুলেছেন।
পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিংও মমতার ওপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। তিনি বলেছেন এই জাতীয় ঘটনা কখনই বরদাস্ত করা যায় না। রাজনীতি হিংসার কোনও স্থান থাকতে পারে না। দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তিনি।
কংগ্রেস নেতা অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ও তৃণমূল নেত্রীর আরোগ্য কামনা করেছেন। তিনি বলেন দোষীদের শাস্তিরও দাবি তুলেছেন তিনি।
কিন্তু এই ঘটনাকে পূর্ব পরিকল্পিত বলেই মনে করছেন বিজেপি। রাজ্যের বিজেপি নেতা একদা তৃণমূল নেতা অর্জুন সিং গোটা ঘটনাকি নাটক বলে মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন কারা মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়তে হামলা চালান?তারা কী তালিবান? যে চার আইপিএস মমতার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকে তাদের সাসপেন্ড করার দাবিও তুলেছেন তিনি। তিনি বলেছেন তার ওপর কোনও হামলার ঘটনা ঘটেনি।
রাজ্যে বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তা নিয়ে সিবিআই তদন্তেরও দাবি জানিয়েছেন। অন্যদিকে নন্দীগ্রামের প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি। তবে তাঁর ভাই শিশির অধিকারি মুখ্যমন্ত্রীর আহত হওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি মমতার দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন। আর দোষীদের দ্রুত শাস্তিরও দাবি জানিয়েছেন। তাঁর ছেলে দিব্যেন্দুও ঘটনার তদন্ত চেয়েন। একই দাবি তুলেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন মমতা বলেছেন ঘটনার সময় তাঁর পাশে কোনও পুলিশ আধিকারিক বা কর্মী ছিল না। কেন নিরাপত্তা ছিল না তা নিয়েও তদন্ত করে দেখা জরুরি।
