সংক্ষিপ্ত

 

  • 'খেলা হবে' এর মাঝেই দাঁড়িয়ে মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম
  • মুর্শিদাবাদের লাল দুর্গ বলে পরিচিত খড়গ্রাম। 
  • অস্তিত্ব সংকটে ধুঁকছে বামেদের এই শক্ত ঘাঁটি। 
  •  বিজেপি -তৃণমূলের উপরেই নির্ভর করছে রাজনৈতিক ভবিষ্যত 


'খেলা হবে' এর মাঝেই নতুন ইতিহাস তৈরির মুখে দাঁড়িয়ে ভোট গণনার দিনে মুর্শিদাবাদের লাল দুর্গ বলে পরিচিত খড়গ্রাম। অস্তিত্ব সংকটে ধুঁকছে বামেদের এই শক্ত ঘাঁটি। রাজনৈতিক ভবিষ্যত নির্ভর করছে বিজেপি আর তৃণমূল এর উপরেই। 

আরও পড়ুন, নন্দীগ্রামে দ্বিতীয় রাউন্ডের পরও পিছিয়ে মমতা, প্রায় ৫ হাজার ভোটে এগিয়ে শুভেন্দু  

 

 

একসময় বামেরাই সর্বশক্তিমান ছিল। ১৯৭৭ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত টানা তারা এই বিধানসভা কেন্দ্রে জিতেছিল। ২০১১সালে কংগ্রেস তাদের ধাক্কা দিয়ে জয়ী হয়। পরের নির্বাচনেও হাত শিবিরই জয়ী হয়েছিল। যেকোনও নির্বাচনে মূলত এই দুই শক্তির টক্কর দেখেছে খড়গ্রাম। কিন্তু লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে এখানে হাওয়া বদলাতে থাকে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুই দলই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে। তৃণমূল ও বিজেপি তাদের মতো শক্তি সঞ্চয় করে লড়াইয়ের ময়দানে নেমেছে।জানা জানা গিয়েছে, ২০১৬সালের নির্বাচনে কংগ্রেস প্রার্থী আশিস মার্জিত ৮৮হাজার ৯১৩টি ভোট পেয়ে জয়ী হওয়ার পর তৃণমূলে যোগ দেন। তাঁর সঙ্গে আরও অনেকেই শিবির বদল করে। তার ফলে তৃণমূল এখানে শক্তি বাড়াতে থাকে। 

আরও পড়ুন, 'উদ্বেগ হচ্ছে', গণনা শুরুর শেষ মুহূর্তে মুখ খুললেন ফিরহাদ  


অন্যদিকে বিজেপির হাওয়ায় ষকংগ্রেসের গড় ভেঙে তাদের কর্মী-সমর্থকদের নিজেদের দলে টেনেছিল। সিপিএমের ক্ষয় অনেক আগেই হয়ে গিয়েছিল। তাদের ভোটব্যাঙ্ক দু’ভাগ হয়ে গিয়েছে। সেই কারণেই এবারের লড়াইয়ে ময়দানে বাম ও কংগ্রেস হাত ধরাধরি করে নামলেও তাতে কাজ হচ্ছে না। তৃণমূলের সঙ্গে বিজেপির জোরদার টক্কর হচ্ছে রবিবার ভোট গণনার শুরু থেকেই।শাসকদলের দাবি, উন্নয়নমূলক কাজের জন্যই তারা এখানে এগিয়ে থাকবে। যদি ওই এলাকার মানুষের অভাব অভিযোগ রয়েছে প্রচুর। স্থানীয় বাসিন্দা রিন্টু মন্ডল, বাপ্পা দাস, মাধবী সাহা বলেন, খরগ্রাম কে আসলে সুখা গ্রাম বলা হয়, জলের অভাবে অনেক জমি ফাঁকা পড়ে থাকে। এলাকায় ক্যানেল রয়েছে। কিন্তু জল আসে না। এই বিষয়টির দিকে সরকারের নজর দেওয়া উচিত ছিল। চাষের কাজ ভালোভাবে হলে এই এলাকার বাসিন্দাদের আর ভাবতে হবে না।' তৃণমূল নেতৃত্ব অবশ্য বিষয়টি আগামী দিনে দেখার আশ্বাস দিয়েছে। তারা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প তুলে ধরেই খড়গ্রামে বাজিমাত করতে চাইছে। 

 

আরও দেখুন, Bengal Election Counting Live- বাংলা এবার কার দখলে, ফল জানাতে তৈরি এশিয়ানেট নিউজ বাংলা 

 

 

তৃণমূল প্রার্থী আশিস মার্জিত বলেন, কন্যাশ্রী প্রকল্পের জন্য মেয়েরা এগিয়ে যাচ্ছে। রূপশ্রী প্রকল্পের জন্য অভিভাবকদের মেয়ের বিয়ের ব্যাপারে চিন্তা করতে হয় না। সবরকম সুবিধা এই সরকারের আমলে পাওয়া গিয়েছে। এখানে জয় আমাদের নিশ্চিত"। যদিও তৃণমূল প্রার্থীর এই দাবির পরেও জয়পুর, পদমকান্দি, মহিষাল, বালিয়ার মতো এলাকাগুলিতে একসময় কংগ্রেসের প্রভাব ছিল। এখন সেখানে উড়ছে বিজেপির পতাকা। একসময় যারা হাত বা বাম শিবিরের গুণগান করত তারা এখন বিজেপির গল্পে মশগুল রয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর ঘোষ বলেন, খড়গ্রামে তৃণমূল নেতাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে ভোটবাক্সে। টাকা না দিয়ে এখানে কেউ বাড়ি পায়নি। এখানকার মানুষ বিজেপির সঙ্গে থাকবেন।' অন্যদিকে কংগ্রেস প্রার্থী বিপত্তারণ বাগদিও  বলেন, তৃণমূল কিছু কাজ করেছে। তবে তারা দুর্নীতি বেশি করেছে। আর এখানে বিজেপি ফ্যাক্টর হবে না। তৃণমূলের সঙ্গে আমাদের টক্কর হবে। এবং আমরাই জিতবো  ভোটে।'