সংক্ষিপ্ত

  • সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন  লালা
  • ভোটের মাঝেই কি প্রকাশ পাবে নয়া তথ্য
  • জানতে টানা ৭ ঘন্টা ধরে চলে জিজ্ঞাসাবাদ 
  • কয়লাপাচারে তার ব্যবসা ছিল প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার 


সিবিআই দফতরে হাজিরা দিলেন কয়লাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। এই মামলায় তাঁকে ৪ বার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তারপরেও হাজিরা এড়িয়ে গিয়েছিলেন  লালা। কিন্তু শেষ অবধি সুপ্রিম কোর্টের আদেশনামাকে সঙ্গে রেখে সিবিআই-এর সামনে এলেন লালা।

আরও পড়ুন, চোখ রাঙানিতে ভয় পান না, পাল্টা জবাব দিতেও ছাড়ছেন না অভিষেক  

 

 


সুপ্রিম কোর্টের আদেশনামা অনুযায়ী, আপাতত ৬ এপ্রিল পর্যন্ত লালাকে গ্রেফতার করতে পারবে না কেন্দ্রীয় তদন্তাকারি সংস্থা। তাই বহু তলবের পর অবশেষে মঙ্গলবার ১১ টা নাগাদ নিজাম প্য়ালেসে সিবিআই এর দফতরে হাজিরা দেন  কয়লাকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা। তাঁকে টানা ৭ ঘন্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তাকারি সংস্থার গোয়েন্দারা। উল্লেখ্য, খাদান থেকে বেআইনিভাবে কয়লা তুলে পাচারের অভিযোগ লালার বিরুদ্ধে। এই কাজে লালাকে সাহায্য করেছে ইসিএল, নিরাপ্ততা সংস্থা সিআইএসএফ, রেলের উচ্চপদস্থ কর্মীচারীরাও। তার এই কর্মকাণ্ডে  রাজ্য়ের একাধিক প্রভাবশালী ব্য়াক্তিরও যোগ রয়েছে। অভিযোগ, কয়লা পাচারের টাকা তাঁদের কাছে পৌছে দিতেন লালাই। 

আরও পড়ুন, 'দরজা ভেঙে ওয়ারেন্ট ছাড়াই গভীর রাতে নিয়ে গেল ওকে', কান্নায় ভেঙে পড়ল ছত্রধরের পরিবার 

 

 

পাচারের সঙ্গে নাম জড়িয়েছে বিনয় মিশ্র এবং ভাই বিকাশেরও। ইতিমধ্যে বিকাশকে গ্রেফতারও করেছে ইডি। তাঁকে জেরা করে ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে, কয়লা পাচারের মূল চক্রী লালার ব্যাবসা ছিল প্রায় ১৩০০ কোটি টাকার। এর মধ্যে প্রভাবশালীদের পিছনেই ৭৩০ কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডের শিকড়ে পৌছতে এই ঘটনায় জড়িত ব্য়ক্তিদের একটা তালিকা করা হয়েছে। সেই তালিকা ধরেই এগোচ্ছে জিজ্ঞাসাবাদ।