সংক্ষিপ্ত

  • অর্মত্য সেনের জমি বিতর্কে সরব মমতা
  • 'নোবেলজয়ীকে রাজনৈতিকভাবে টার্গেট করা হচ্ছে'
  • বোলপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে অভিযোগ মমতার
  • এই বিষয়ে আরও কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী

আশিস মণ্ডল, বীরভূম- ''রবীন্দ্রনাথ বাংলার গর্ব। তিনি প্রথম বাংলায় নোবেল এনে দিয়েছিলেন। আজও আমরা গর্ববোধ করি। সেই নোবেল ছুরি নিয়ে তদন্ত চলছে। তবে অমর্ত্য সেনও বাংলার গর্ব। সেই অমর্ত্য সেনকে টার্গেট করা হচ্ছে। এমনকি রাজনৈতিকভাবে আমাকেও টার্গেট করা হচ্ছে''। সোমবার প্রশাসনিক সভা শেষে এমনই মন্তব্য করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন-'দেউচা পাচামি প্রকল্পে ১ লক্ষ নিয়োগ', বীরভূমে প্রশাসনিক বৈঠকে কর্মসংস্থানের আশ্বাস মুখ্যমন্ত্রীর

বেশ কয়েক দিন ধরে শান্তিনিকেতনে নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের বাড়ির জায়গা নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্বভারতীর দাবি, ওই জায়গা দখল করে হয়েছে। এনিয়ে প্রথম থেকেই অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁকে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেমন আমাদের গর্ব। তেমনি অমর্ত্য সেন, অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায়রাও আমাদের কাছে গর্ব। তাঁরা বিশ্ব বরেণ্য। তাঁদের সমাজে একটা ঐতিহ্য আছে। সারা বিশ্বের মানুষ চেনেন। আর কে কি আদর্শ নিয়ে কথা বলবে, বা কিভাবে বলবে সেটা তাঁর নিজস্ব ব্যাপার। বিজেপি সকলকে টার্গেট করছে। আমাকেও রাজনৈতিক ভাবে টার্গেট করা হচ্ছে। আর অমর্ত্য সেনকে শিক্ষার দিক থেকে টার্গেট করা হচ্ছে। এখানে বিশ্বভারতীর আচরণে আশ্রমিকরাও খুশি নন। এটা খুব দুঃখের। এখানে রবীন্দ্র সংস্কৃতিকে গুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে এঁরা। অথচ, একদিন বাংলার স্বাধীনতা আন্দোলনে বড় ভূমিকা ছিল এই বাংলার। নেতাজির ১২৫ তম বর্ষ পালন হচ্ছে। কিন্তু এখনও তাঁর মৃত্যু রহস্য উদ্ঘাটিত হল না”।

আরও পড়ুন-'দুয়ারে সরকার' কর্মসূচির সাফল্য, এবার 'পাড়ায় পাড়ায় সমাধান' আনছে সরকার

বহিরাগত ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ''দেশের লোককে বহিরাগত বলতে পারি না। আমরা সব রাজ্যেই যেতে পারি। ইদানিং বিজেপি যেটা চেষ্টা করছে, সেটা বাংলার যে মেলবন্ধন, সংস্কৃতি, আত্মঅহংকার রয়েছে সেটা ভেঙে দাও। আমাদের সংস্কৃতি ভারতীয় সংস্কৃতি। ওঁরা যে তত্ত্ব সংস্কৃতি আওড়াচ্ছে সেটা সংস্কৃতি নয়। বিভিন্নভাবে ওঁরা বঙ্গ সংস্কৃতিকে অবমাননা করার চেষ্টা চালাচ্ছে''।