সংক্ষিপ্ত
- নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মমতা
- কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করলেন মুখ্যমন্ত্রী
- গণনায় কারচুপি সহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন তিনি
- আগামীকাল বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলার শুনানি
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে হারিয়ে বিজেপির টিকিটে জয়ী হন শুভেন্দু অধিকারী। আর এবার শুভেন্দুর জয়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করলেন মুখ্যমন্ত্রী। গণনায় কারচুপি সহ একাধিক অভিযোগ এনেছেন তিনি। আগামীকাল সকাল এগারোটায় বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানি। যদিও এই মামলা সংক্রান্ত কোনও নথি তাঁরা এখনও হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন শুভেন্দুর আইনজীবী।
আরও পড়ুন- বিজেপি কর্মী দেবাশিস আচার্যর রহস্য মৃত্যু, পরিকল্পিত হত্যা বলেই দাবি কণিষ্ক পণ্ডার
এবারের বিধানসভা নির্বাচনে হেভিওয়েট আসনগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল নন্দীগ্রাম। রাজ্যের পাশাপাশি ওই কেন্দ্রের দিকে নজর ছিল গোটা দেশের। কারণ সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখোমুখি হয়েছিলেন তাঁর একদা ছায়াসঙ্গী শুভেন্দু অধিকারী। ফল ঘোষণার দিনও এই আসন নিয়ে উত্তেজনার পাদরদ ক্রমশ চড়ছিল। ভোটের ফল প্রকাশের দিন দেখা যায়, তুল্যমূল্য লড়াই হচ্ছে দু'জনের মধ্যে। কখনও মমতা এগিয়ে যান তো কখনও শুভেন্দু। একের পর এক কেন্দ্রের ফলাফল সামনে আসতে শুরু করলেও রাত পর্যন্ত নন্দীগ্রাম নিয়ে ধোঁয়াশা কাটছিল না। সেখানে মমতা হেরেছেন না জিতেছেন তা বোঝা যাচ্ছিল না। এক সময় জানা যায় শুভেন্দুকে হারিয়ে নন্দীগ্রামে জিতেছেন মমতা। ভোটের ব্যবধান ১২০০। আরও কিছুটা সময় কাটার পর জানা যায় সেই আসনে মমতা হেরে গিয়েছেন। ১৯০০-র বেশি ভোট পেয়ে জিতেছেন শুভেন্দু।
যদিও সেই ফলাফল মেনে নিতে পারেননি মমতা। নন্দীগ্রামে পুনর্গণনার দাবিতে নির্বাচন কমিশনকেও চিঠি দিয়েছিল তৃণমূল। চিঠিতে অভিযোগ করা হয়, ভোটগণনা চলাকালীন তা থামিয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই ফাঁকেই ইভিএমে কারচুপি করা হয়েছে। ভুয়ো ও বাতিল ভোটও বিজেপির হয়ে গোনা হয়েছে। ব্যালট বাক্স এবং ভোটগণনায় কারচুপি রয়েছে। পোস্টাল ব্যালটও ভুলভাবে গোনা হয়েছিল। যদিও পুনর্গণনার দাবি মানেনি নির্বাচন কমিশন। আর সেই সময়ই ফলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মতোই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলেন তিনি। আগামীকাল এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।