সংক্ষিপ্ত
- নন্দীগ্রামে গিয়ে আহত মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়
- পরিকল্পনা করে হামলা বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর
- সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা বলে অভিযোগ বিরধীদের
- এই ঘটনায় ভোটের আগে উত্তার বাড়ল রাজ্য রাজনীতির
নন্দীগ্রামে প্রচারে গিয়ে আহত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিকেলে রানিচকে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান থেকে ফিরছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় নিজের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে কয়েক জনের সঙ্গে কথা বলার সময় হঠাৎই কয়েক জন ধাক্কা দেয় বলে অভিযোগ। আচমকা ধাক্কা দেওয়ায় মুখ থুবড়ে পড়ে যান মমতা। কপালে ও মাথায় আঘাত লাগে তাঁর। আঘাত লাগে বাঁ পায়েও। পরিকল্পনা করে হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যন্ত্রণা না কমায়, তড়িঘড়ি গ্রিণ করিডর করে কলকাতায় নিয়ে আসা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে
ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চক্রান্তের অভিযোগ করলেও, এই ঘটনা নাটক বা সহানুভূতির রাজনীতি বলে দাবি করেছে বিরোধীরা। বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং বলেন,'হামলা যদি হয়ে থাকে, তাহলে পুলিশমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর যোগ্য নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ ও নিরাপত্তারক্ষীদের সাসপেন্ড করা উচিত। হামলাকারীদের ফাঁসি দেওয়া হোক। মুখ্য়মন্ত্রী যেখানে যান, তার ২ কিমির মধ্যে সব আটকে দেওয়া হয়। এসব তিনি সহানুভূতি আদায় করার জন্য করছেন।' বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন,'মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা। দ্রুত সুস্থ হয়ে ফিরে আসুন। অভিযোগ গুরুতর। তদন্ত করে খতিয়ে দেখা উচিত। তদন্ত প্রয়োজন। সকলেই জানতে চাইছেন, ঠিক কী ঘটেছে।' বিজেপির রাজ্য পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দ্রুত আরোগ্য কামনা করার পাশাপাশি, ঘটনায় দ্রুত সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তিনি। কারণ জেড প্লাস নিরাপত্তা থাকা সত্ত্বেও কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
এই ঘটনাকে বিশ্বাস না করে নাটক বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি বলেন,পুলিসমন্ত্রী বলছেন পুলিস ছিল না। পুলিশ না থাকা অবস্থায় হামলা হল। এটা অসম্ভব। এটা নির্বাচনী গিমিক। একটা সমবেদনা আদায় করার চেষ্টা। আর বাংলার পুলিসমন্ত্রী যদি পুলিস না পান, তাহলে বাংলার সাধারণ মানুষের কী হবে? তাহলে মমতা স্বীকার করুন যে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। নন্দীগ্রামের বাম প্রার্থী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় বলেন, উনি তো নিজের কর্মীদের মধ্যেই ছিলেন। তাহলে কে তাঁকে ধাক্কা মারল? মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। কিন্তু কীভাবে এমন ঘটনা ঘটল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ফলে ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর আঘাত লাগার ঘটনা রাজনৈতিক উত্তাপ আরও বাড়িয়ে দিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।