সংক্ষিপ্ত
- রামপুরহাট বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী শুভাসিস চৌধুরী
- প্রচারে বেরিয়ে অবলম্বন করলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত সাহের পন্থা
- আদিবাসী পরিবারে মধ্যাহ্ন ভোজন সারলেন বিজেপি প্রার্থী
- একইসঙ্গে দিলেন এলাকার সার্বিক উন্নয়নের আশ্বাস
আশিস মণ্ডলঃ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাজ্য সফরে তফসিলি ও আদিবাসীদের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন রেওয়াজে পরিণত হয়েছিল। সেই ট্র্যাডিশন বজায় রাখলেন বীরভূমের রামপুরহাট বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শুভাশিস চৌধুরী। আদিবাসীদের মন পেতে প্রচারের ফাঁকে তাদের বাড়ির উঠোনে বসে মধ্যাহ্নভোজন সারলেন শুভাশিস চৌধুরী। বিজেপি প্রার্থীকে খাইয়ে তৃপ্তি পেলেন মনমতী হেমব্রম। তবে তৃপ্তির মাঝে আতঙ্কও রয়েছে বিজেপি প্রার্থীকে মধ্যাহ্নভোজন করানোয় আবার শাসকের হুমকির মুখে পড়তে হবে না তো? তবে তেমন হলে পাশে থাকবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন বিজেপি প্রার্থী।
বুধবার প্রচারের ফাঁকে দুপুরে হাজির হন রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের বনহাট অঞ্চলের আদিবাসী অধ্যুষিত মাটিমহল গ্রামে। সেখানে শুভাশিসবাবুকে প্রথমে মালা পড়িয়ে, আবির ছুড়ে অভ্যর্থনা জানান আদিবাসীরা। এরপর আদিবাসী রীতি মেনে তাঁকে বাড়ির ভিতরে নিয়ে যাওয়া হয়। ততক্ষণে প্রার্থী সহ বিজেপি কর্মীদের জন্য রান্না সম্পূর্ণ। মেনুতে ছিল সাদা ভাত, ডাল, পাঁচ তরকারি, চাটনি। খাওয়াদাওয়া শেষে শুভাশিসবাবু বলেন, “মনমতি হেমব্রম আমাদের দীর্ঘদিনের পরিচিত। উনিই আমাকে বলেছিলেন গ্রাম দিয়ে প্রচারে গেলে তার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করতে হবে। সেই মতো আমরা তাঁর বাড়িতে গরম ভাত তৃপ্তি করে খেলাম। শুধু মনমতি নয়, গোটা আদিবাসী গ্রামের মানুষ যেভাবে আমাদের আপ্যায়ন করলেন তাতে আমি মুগ্ধ”।
বিজেপি প্রার্থীকে খাইয়ে তৃপ্তি পেয়েছেন মনমতি হেমব্রমও। তবে কোথাও যেন আতঙ্ক তাড়া করছে তাঁদের। তিনি বলেন, “বিজেপিকে খাওয়ানোর জন্য শাসক দলের নেতারা হয়তো হুমকি দিয়ে যাবে”। অনুন্নত ওই আদিবাসী গ্রাম আজ অনুন্নত। আজ গ্রামের রাস্তা পাকা হয়নি। মেলেনি প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ, বিজেপি সমর্থক হওয়ায় উন্নয়ন থেকে আজ বঞ্চিত গোটা গ্রাম। শুভাশিসবাবু গ্রামবাসীদের আশ্বস্ত করে বলেন, “কেউ হুমকি দিলে একবার ফোন করবেন। আমরা আইনগত ব্যবস্থা নেব। আর ক্ষমতায় এলে সমস্ত আদিবাসী গ্রামে উন্নয়ন করা হবে”।