সংক্ষিপ্ত
- বিজেপিতে যোগদান করলেন রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়
- তিনি আদিত্য বিড়লা গোষ্ঠীর ভাইস প্রেসিডেন্ট
- মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দান
- বাংলায় শিল্প চাই বলে মন্তব্য করেন তিনি
বিধানসভা নির্বাচনের আগেই ক্রমশ পাল্লা ভারি হচ্ছে ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি (BJP)র। এদিন কলকাতায় পদ্ম পাতাকা হাতে তুলে নেন আদিত্য বিড়লা গ্রুপের সিনিয়ন ভাইস প্রেসিডেন্ট রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। মানুষের জন্য কাজ করতে চেয়েই তিনি বিজেপিতে যোগ দান করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য বিজেপিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি বলেন বাংলার বাসিন্দাদের কর্মসংস্থানের জন্য এখানে শিল্প আনা খুবই জরুরি। কয়েক দশক ধরে শিল্পবিরোধী আন্দোলনের শীকার পশ্চিমবঙ্গের দিকে শিল্প সংগঠনগুলিকে আকর্ষিত করবেন বলেও সংকল্প গ্রহণ করেছেন।
একটা সময় এই রাজ্যে বাম শ্রমিক সংগঠনের দাপটে শিল্পের গতি স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বলে অভিযোগ করা হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে বামেরা বেশ কয়েকটি শিল্প তালুক তৈরি করে। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের স্বপ্নের প্রকল্প ছিল সিঙ্গুরে টাটাদের গাড়ি কারখানা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যাপাধ্যায় সেই সময় সিঙ্গুরে অনিচ্ছুক কৃষকদের সমর্থনে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। তাঁর আন্দোলেনর জেরেই সিঙ্গুর ছেড়ে গুজরাতে চলে যায় টাটা কোম্পনি। ২০১১ -এর বিধানসভা নির্বাচনে জয় লাভ করলেও মমতার গায়ে শিল্প বিরোধী একটি দাগ লেগে রয়েছে বলে অভিযোগ বিশেষজ্ঞদের। তিনি বর্তমানে সেই দাগ মুছতে একাধিক চেষ্টা করছেন। কিন্ত পাল্টা বিজেপি কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে এই রাজ্যে শিল্প ফিরিয়ে আনবে বলেও প্রচার চালাচ্ছে। আর সেখানেই রঞ্জন বন্ধ্য়োপাধ্যায়ের যোগদান বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলেও দাবি করেছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
বিজেপি জিতলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী কে হবেন, বিধানসভা ভোট নিয়ে কী বললেন কৈলাস বিজয়বর্গীয় ..
এদিন মুকুল রায়ের উপস্থিতিতেই বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নেন রঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন শান্তিপুরের তৃণমূল নেতা অরিন্দম ভট্টাচার্যও তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। সবমিলিয়ে বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই পাল্লা ভারি হচ্ছে বিজেপির।